হাসান বিন বাংলা : ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা ইনসাইডারের কলামটি আবারো চোখে পড়লো। হেডলাইন ছিলো, ‘বিএনপির মরণ যাত্রা শুরু হলো’। পুনর্বার পড়লাম এবং রিয়েলাইজ করলাম যে, রাজনীতিবিদদের অন্তর্দৃষ্টির ভ্যালু আছে। হতে পারে মরহুম সাদেক হোসেন খোকা ভ্রষ্ট রাজনীতির শিকার, কিন্তু মৃত্যুঅবধি সে তার ট্রাক থেকে ছিটকে পড়েনি। হয়তো শেষ জীবনে দলীয় রাজনীতির উপর সে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলো। কিন্তু পতিত রাজনীতিবিদ বেগম জিয়ার উপর ছিলো তার অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। শেষ জীবনে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানকালীন সময়ে খোকার কালজয়ী একটি বক্তব্য ঘিরে আজকে কলম ধরলাম। রাজনীতির মাঠে শ্রতি যে, খোকা এবং তারেক রহমানের মাঝে মতদ্বৈততা ছিলো।
কারণ খোকা বিশ্বাস করতো যে, ‘তারেক রাজনীতি না বুঝেই প-িতি করে। তারেক রাজনীতির সংগ্রাম থেকে তৈরি হননি। এ জন্য তার নেতৃত্বে বিএনপির পুনঃজাগরণ সম্ভব নয়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির মরণ যাত্রা শুরু হলো’। সাদেক হোসেন খোকা বেগম জিয়াকে নিয়েও একটি মন্তব্য করেছেন যা কালোত্তীর্ণ হয়ে থাকবে। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট হলো বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির পুনর্গঠন এবং তারেক রহমানের নেতৃত্ব। খোকা বলেছিলেন ‘বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে কার্যত বেগম জিয়ার পতন হলো। তারেক মসনদ দখল করলো। ম্যাডামের সম্ভবত এটাই বিদায়ী ভাষণ’। মরহুম সাদেক হোসেন খোকার সুপুত্র ইশরাক হোসেন (ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে সম্প্রতি পরাজিত) পিতার মতোই ভ্রষ্ট মতাদর্শের ধারক হয়ে তেতো স্বাদ নিলেন। তিনি হয়তো পিতার অন্তর্দৃষ্টির দেখা পাননি। পেলে হয়তোবা তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতিতে এতোটা উতলা হয়ে উঠতেন না। খোকাকে রাজনীতিবিদ হিসেবে মূল্যায়ন না করলেও স্বাধীনতা সংগ্রামে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের কথা জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :