শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৩০ সকাল
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কিংসে এসেছি

বাংলাদেশ প্রতিদিন : লিওনেল মেসির সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলে খেলেছেন হারনান বারকোস। লাতিন আমেরিকায় ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ লেভেলে খেলেছেন। খেলেছেন ইউরোপ এবং এশিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ লেভেলেও। সেই বারকোস নাম লিখিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসে। গতকালই বাংলাদেশে এসেছেন। বিমানবন্দরে তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন - রাশেদুর রহমান

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলেন। বসুন্ধরা কিংসে খেলবেন। এদেশের ফুটবল নিয়ে কোনো ধারণা আছে আপনার?
ইন্টারনেটে আমি বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছি। তাছাড়া কোচের সঙ্গেও আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এখানকার ফুটবল নিয়ে। কোচ বলেছেন, এটা ভালো একটা লিগ। প্রতিযোগিতা আছে অনেক। এটা একটা নতুন চ্যালেঞ্জ হবে আশা করি। আর আমি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ খুব পছন্দ করি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েই কিংসে এসেছি।

আপনি তো মেসির সঙ্গে খেলেছেন। এ ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা বলবেন?

মেসি কেমন ফুটবলার এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে অসাধারণ একজন ফুটবলার। খুবই উঁচুমানের। কোনো সন্দেহ নেই বিশ্বের সেরা। তার সঙ্গে আমার খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। ২০১২ ও ২০১৩ সালে তার সঙ্গে খেলেছি। কেবল তো মেসি নয়, সেই দলে আগুয়েরো, মাসকারেনো, ডি মারিয়াদের মতো ফুটবলাররাও ছিল। সেসময়টা আমার জীবনের সেরা সময় ছিল। তবে তা অনেকটা পেছনে ফেলে এসেছি। এখন আমাকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জটা আমি উপভোগ করি।

বসুন্ধরা কিংস বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন। এই দল নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

কোচের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে এই ক্লাব নিয়ে। তিনি বলেছেন, এটা দারুণ একটা দল। নতুন দল। কিন্তু অসাধারণ। তারা চ্যাম্পিয়ন দল। এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমি ক্যারিয়ার জুড়েই অসাধারণ সব ক্লাবে খেলেছি। আরও একটা দারুণ ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যাচ্ছি। আমি অনেক খোঁজ-খবর নিয়েই এই ক্লাবে এসেছি। দারুণ এই ক্লাবে খেলার অপেক্ষায় আছি। এখানে এসে আমি দারুণ আনন্দিত।

বসুন্ধরা কিংসে ড্যানিয়েল কলিনড্রেস খেলছেন। কোস্টারিকার জার্সিতে তিনি বিশ্বকাপ খেলেছেন। আপনারা একই সঙ্গে খেলবেন। আপনাদের জুটি কেমন হবে আশা করেন?

ড্যানিয়েল কলিনড্রেস অসাধারণ একজন ফুটবলার। তার সঙ্গে আগে কোনোদিন খেলিনি। অনেক কিছু শুনেছি কলিনড্রেস সম্পর্কে। এখন তো আমরা একসঙ্গে খেলব। আশা করি আমাদের জুটি বেশ ভালো হবে। ক্লাবের লক্ষ্যপূরণে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারব।

বাংলাদেশে কী আপনার জীবনের নতুন একটা অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে?

এটা আমার জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। অতীতে অনেক দেশেই আমি সফল হয়েছি। এখানেও সফল হতে চাই।

নিশ্চয়ই এটা নতুন একটা জার্নি। এশিয়ায় আগেও খেলেছি (চাইনিজ সুপার লিগে)।

এই অঞ্চলের (দক্ষিণ এশিয়া) ফুটবল নিয়ে খুব বেশি ধারণা নেই। তবে আশা করি খুব শিগগিরই নিজেকে এখানে প্রমাণ করতে পারব।

দীর্ঘদিন ব্রাজিলিয়ান লিগে খেলেছেন। সেখানে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

ব্রাজিলে আমি তিনটি ক্লাবের জার্সিতে খেলেছি। পালমেইরাস, গ্রেমিও এবং ক্রুজেইরো। সেখানে আমি জীবনের অন্যতম সেরা দিনগুলো কাটিয়েছি। অনেক উঁচু মাপের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলেছি। যারা নিজেদেরকে বিশ্বসেরা হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনায় ফুটবলই সব। সেখানে মানুষ ফুটবল নিয়েই বেঁচে থাকে। ফুটবলকে ভালোবাসে পাগলের মতো।

আপনি ইকুয়েডর এবং চীনে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। বাংলাদেশেও কী হতে চান?

আমি দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে চাই। চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। দলীয় সফলতাই সবার আগে। ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারব কি না জানি না। তবে চেষ্টা থাকবে দলের প্রয়োজনে নিজের সেরা খেলা উপহার দিতে। গোল করতেও চেষ্টা করব।

এক নজরে হারনান বারকোস

► ২০১০ সালে ইকুয়েডরের ক্লাব এলডিইউ কুইটোর জার্সিতে ইকুয়াডোরিয়ান সিরি এ লিগ জিতেন।

► ২০১০ সালে তার জোড়া গোলেই আর্জেন্টাইন ক্লাব এস্টুডিয়ান্টেসকে হারিয়ে রিকোপা সাউদামেরিকানা জয় করে এলডিইউ কুইটো।

► ২০১২ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের জার্সিতে জয় করেন কোপা ডু ব্রাজিল। সেবার সেমিফাইনালে তার গোলেই পালমেইরাস হারিয়েছিল গ্রেমিওকে।

► ২০১৮ সালে আবারও কোপা ডু ব্রাজিল জয় করেন বার্কোস। এবার ক্রুজেইরোর জার্সিতে।

► ব্যক্তিগত অর্জনের দিক দিয়ে তিনি ২০০৯ সালে চাইনিজ সুপার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন (১৭ গোল)। ২০১০ (২২ গোল) ও ২০১৭ (২১ গোল) সালে ইকুয়েডর সিরি এ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

► বারকোস সার্বিয়ান ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেডের জার্সিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলেছেন ২০০৭-০৮ মৌসুমে। চীনা ক্লাব সাংহাই শেনহুয়ার জার্সিতে খেলেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এখানে তিনটি গোলও করেছেন তিনি।

► আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির সতীর্থ হিসেবে ব্রাজিলের বিপক্ষে দুটি এবং উরুগুয়ে ও চিলির বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচেই জয় পেয়েছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়