মুনশি জাকির হোসেন : মোদী ও বরিস জনসন বাস্তবে আপন মায়ের পেটের ভাই না হলেও কার্যত যমজ ভাই। তাদের কথা, কর্ম, চলন, বলন, আচরণ সব কিছুতেই সাদৃশ্য বিদ্যমান। মোদী আছে গেরুয়া নিয়ে, এনআরসি নিয়ে। অন্যদিকে বরিস জনসন আছে ব্রেক্সিট নিয়ে। এই দুজনেরই আরেক সহচর হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প। ধর্ম, উগ্র জাতীয়তাবাদই তাদের মৌল পরিচয়। এই ত্রিশূলের সবাই আবার গণতন্ত্রের ফসল। গণতন্ত্রকে বিভিন্ন কারণে পছন্দ করি না, তার মধ্যে এই ত্রিশূলের ক্ষমতায়ন একটি উদহারণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রে জামায়াত-শিবিরও ভোট পায়। এটিও আরেকটি কারণ। ফ্যাসিবাদী-অপশক্তিকে ক্ষমতায়িত করার সুযোগ গণতন্ত্রেই আছে। যার মধ্য দিয়ে সেই গণতন্ত্রেরই ধ্বংস কায়েম হয়, এটিকে বলে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন পরিণতি। তথাকথিত গণতন্ত্রে কাজে, কর্মে, আচরণে গণতান্ত্রিক না হয়েও গণতন্ত্রী হওয়া যায়।
ধরুন জামায়াত-শিবির এই বাংলাদেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পেলো, সরকার গঠন করলো। তারপর কী হবে? জামায়াত-শিবির কী গণতান্ত্রিক আচরণ করবে? নাকি গণতান্ত্রিক হবে? বাস্তবে জামায়াত-শিবির হবে মোদী তুরস্ক, ইরান, সৌদি থেকেও জঘন্য। অথচ তারা এখন গণতন্ত্রের নামে, গণতান্ত্রিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত করছে, নিজেদের সংগঠিত করছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সমস্যা, দুর্বলতা হলো একজন গণতান্ত্রিক না হয়ে গণতন্ত্রের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে নিজেকে ক্ষমতাশালী করে সেই গণতন্ত্রকেই ধুলিসাৎ করা সম্ভব। গণতন্ত্রের আরেক সমস্যা হলো, পুঁজিবাদের অর্থনীতি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :