এল আর বাদল : বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ক্লাব কর্মকর্তা আর খেলোয়াড়দের মধ্যে নানা টানাপোড়েনে কিছুদিন আগেই পরিবর্তন হয়েছে কোচের। এ অবস্থায় লিগের শীর্ষস্থানও তারা হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। মনে হচ্ছে বার্সেলোনায় চলছে গৃহযুদ্ধ। এই মুহূর্তে রীতিমতো বাকযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন ক্লাবটির স্পোর্টস ডিরেক্টর এরিক আবিদাল ও প্রাণ ভোমরা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
বার্সেলোনার ডেরায় আড়াই বছর থেকে চারটি শিরোপা জিতেছিলেন সাবেক কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে। তারপরও ক্লাবের ইতিহাসে ঠাঁই করে নেওয়া সফল কোচদের একজন নন তিনি। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দুই মৌসুমে অবিশ্বাস্য হার। রোমা ট্র্যাজেডির পর লিভারপুলের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া। আর চলতি মৌসুমে সুপার কোপার সেমিফাইনালে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হারার পর বার্সা কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হন ভালভার্দে। কিন্তু তার অধীনে বার্সেলোনার বাজে সময় পার করার দায়টা ফুটবলারদের দিচ্ছেন আবিদাল।
কিছুদিন আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবিদাল অভিযোগ করে বলেছিলেন, (ভালভার্দের অধীনে) বেশ কিছু খেলোয়াড় সুখী ছিলেন না। ঠিকঠাকভাবে পারফরম্যান্সও করেননি। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত সমস্যা ছিলো। কোচ ও ড্রেসিং রুমের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো ছিলো। সাবেক ফুটবলার হিসেবে আমি কিছু বিষয় বুঝতে পেরেছি। আমি সেটাই ক্লাবকে বলেছি এবং আমাদের একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।
আর আবিদালের এ কথাতেই চটেছেন মেসি। সাবেক ক্লাব সতীর্থকে রীতিমতো হুমকিই দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, সত্যি বলতে, এসব নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। তবে নিজেদের কাজ ও সিদ্ধান্তের দায়-দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে। মাঠে যা ঘটে তার দায় খেলোয়াড়দের। ভালো খেলতে না পারলে সবার আগে তা আমরাই স্বীকার করি। তবে, যদি খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলতে হয়, তাহলে নাম বলতে হবে। অন্যথায় সবাইকে কলঙ্কিত করা হয় এবং গুজব ছড়ানো হয়, যা সত্য নয়।
আপনার মতামত লিখুন :