লাইজুল ইসলাম : করোনাভাইরাস যাতে দেশের ভেতরে ছড়িয়ে পরতে না পারে সেজন্য বিমান যোগাযোগ বন্ধের কথা জানিয়েছেন শহরের সাধারণ মানুষ। এদিকে, বিমানবন্দরের পরিচালক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান মনে করেণ এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসা জরুরী। যাওয়ার লোক কম হলেও আসার যাত্রী বেড়েছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী মোহম্মদ হুদা মনে করেন, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। এই রুট আপাতত বন্ধ করা দরকার। রিকশা চালক কুদ্দুস বলেন, মামা এত কিছু বুঝি না। কিন্তু এই রোগ যাতে দেশে না ঢুকে সেজন্য লোক আনাই বন্ধ করে দেওয়া দরকার।
করোনাভাইরাস নিয়ে যাতে কোনো যাত্রী দেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরগুলোতে চলছে স্বাস্থ্যপরীক্ষা। প্রতিদিন শত শত বাংলাদেশী আসছেন দেশে। বাংলাদেশে কর্মরত চীনা নগরীকরাও দেশের আসছেন। তাদের স্ক্যানিং করে দেশে ডুকতে দিচ্ছে বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্রর চিকিৎসকরা। যাদের সন্দেহ হচ্ছে তাদের পাঠানো হচ্ছে কুর্মিটোলা হাসপাতালে।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহযোগি পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদা জানান, আগে তো নির্দিষ্ট প্লেনে করে চীন থেকে বাংলাদেশে ঢুকতেন যাত্রীরা। এখন আর তা নেই। চীন থেকে ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে যাত্রীরা।
দিন দিন যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। যাদের শরীরে জ্বর আছে তাদের না হয় বোঝা যাচ্চে কিন্তু যাদের শরীরে জ্বর নাই কিন্তু ভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশ করছে তাদের কোনো ভাবেই সনাক্ত করার উপায় নাই। এক্ষেত্রে যারা শেষ ১৪ দিন বা তার বেশি দিন ধরে চীনে ছিলো তাদের স্বাস্থ্যকার্ড ও অঙ্গীকার নামা রেখে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। ফ্লাইট বন্ধ করলে হয়তো সবার জন্য ভালো হতো বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
এদিকে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রæপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল আহসান বলেন, চীন থেকে সরাসরি দেশে আসে এমন এয়ারলাইন্স চারটি আর ট্রনজিট হয়ে আসে ৫ টি। এতে যাওয়ার যাত্রী কম হলেও আসার যাত্রী প্রচুর। প্রতি প্লেনেই কয়েকশ যাত্রী দেশে ঢুকছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউই সনাক্ত হয়নি।
তৌহিদ বলেন, যারা জ্বর নিয়ে ঢুকছেন তারা তো ধরা পরছেন। কিন্তু যাদের জ্বর নেই কিন্তু ভাইরাস নিয়ে ঢুকছেন তাদের নিয়ে চিন্তা থাকতেই পারে। যদিও স্বাস্থ্যকার্ড দেওয়া হচ্ছে। তারপরও এটি খুবই চিন্তার বিষয়। চীনে ফ্লাইট বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :