চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার কোকেন আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত মাদক ধ্বংস ও মাদকবিরোধী প্রচারণা অনুষ্ঠানে ড্রামভর্তি কোকেন ধ্বংস করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স এর নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব। র্যাবের স্লোগান ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। এযাবৎ মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযানে ১০৬ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।‘
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। ২০১৮ সালের পর থেকে ১০০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। এক হাজার কোটি টাকার অন্যান্য মাদক উদ্ধার করে ৪২ হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আলোচিত কোকেন উদ্ধার প্রসঙ্গে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ করা হয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী। কিন্তু তারা রক্ষা পায়নি। র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলা থামিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিলো কিন্তু সরকারের আন্তরিকতার কারণে তা পারেনি।
২০১৫ সালে জব্দ হওয়া এসব কোকেন এসেছিল সাউথ আমেরিকার এক দেশ থেকে। এসব কোকেনের গন্তব্যস্থান বাংলাদেশ ছিল না, এটি বাংলাদেশ হয়ে সাউথ এশিয়ার আরেকটি দেশে যাচ্ছিল। কিন্তু আমরা তা থামিয়ে দিয়েছি।’
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, মো. হাবিবুর রহমান এমপি, মো. ফরিদুল হক খান এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :