শাহীন খন্দকার : করোনাভাইরাসের হুমকির মুখে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গত ২১ জানুয়ারি থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত ১৬ দিনে মোট ৭১৪৬ যাত্রী এসেছেন। তবে তাদের মধ্যে ৪৩ জন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারো করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। গত ১৬ দিনে চীনফেরত যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত¡ রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে ওই ৪৩ জন চীন ফেরত যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে নতুন করে ১০ জন চিকিৎসক পদায়ন দেন। এ নিয়ে বিমানবন্দরে পদায়নকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ জনে। ফলে এখন থেকে প্রতি বেলায় কমপক্ষে তিন জন করে চিকিৎসক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
কোনো যাত্রীর গায়ে জ্বর ও শরীর খারাপ শুনলেই চিকিৎসকরা তাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন ও চিকিৎসা দেবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আইইডিসিআর জানান, এর আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১১টি ফ্লাইটে কমপক্ষে ১৬০/১৭০জন করে যাত্রী আসায় চিকিৎসকদের পক্ষে সব যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বিমানবন্দরে কর্মত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, স¤প্রতি চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চীনফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়। প্রতিদিন শাহজালাল বিমানবন্দরে চীনফেরত চারটি ফ্লাইট (চায়না ইস্টার্ন, চায়না নর্দান, ড্রাগন এয়ার ও ইউএসবাংলা)-এর যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা পরীক্ষা-নিরীক্ষার করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :