শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৫:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৫:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিটি নির্বাচনের সকল তথ্য প্রকাশের দাবি তাবিথ আউয়ালের

মহসীন কবির ও শিমুল মাহমুদ : বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইমানুয়েলস ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিদ আউয়াল।

তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে আমি অফিসিয়ালভাবে আজকে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা দাবি করছি, সকল কর্মকম বন্ধ রেখে নির্বাচন কমিশন সকল তথ্য, ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট সি থেকে শুরু করে রেজাল্ট সীট জনগণের সামনে এবং যারা প্রার্থী ছিলাম তাদের সামনে প্রকাশ করবে।

তাবিদ আউয়াল বলেন, এই নির্বাচন শুরুই হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পিত হামলার মধ্য দিয়ে। এতে সাংবাদ কর্মীরা আহত হয়েছে এবং আমাদের পোলিং এজেন্ট যথা সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে নিয়ে বাহিরে পেটানো হয়েছে। যাদের অনেকে এখনো হাসপাতালে আছে।এ সকল হামলার বিষয়ে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, পুলিশকে জোড়ালো তাগিদ দিচ্ছি। উনারা যেনো সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে যেনো যথাযত ব্যবস্থা নেন।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাদের হুমকি শুরু হয়ে গিয়েছিলো, তাদের গুন্ডাবাহিনীরা পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্র দখল করবে। নির্বাচনের দিন শুরুতে সমস্থ কেন্দ্রের বাহিরে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার গুণ্ডা ও কর্মী অবস্থান করে গেইট বন্ধ রাখে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেন নাই। যে কারণে বেশিরভাগ ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারে নাই। তাদের বড় ভয় ছিলো ভোটার। কারণ ভোটাররা ছিলো তাদের রায়ের বিপক্ষে।

সংবাদ সম্মেলনে ভিডিওটি চিত্র দেখিয়ে তাবিদ আউয়াল অভিযোগ করেন , ভোট কেন্দ্রে বানানো লাইন দাড়ানো ছিলো যে কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি । একটা বানানো লাইন দিয়ে তাদের দমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কারভাবে প্রমাণ হয়, আমাদের প্রতিপক্ষের কৌশলও ছিল ভোটাররা যারা ভোট কেন্দ্রে না প্রবেশ করতে পারে। প্রবেশ করতে পারলেও কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে ভোট না দিতে পারে।

শুধু বিএনপি নয় সকল প্রার্থীদের ও ভোটারদের কেন্দ্রে বাহিরে রাখার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিলো।

ঈদের ভিতরে ফেক পুলিশ কর্মকর্তা ছিলো দাবি করে তিনি আরো বলেন, আমি শুনতে চাচ্ছি পুলিশ কর্মকর্তাদের উচ্চ মহল থেকে তাদেরকে কি আটক করা হবে? দাবি জানাচ্ছি তারা যেন এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন।

তাবিদ আউয়াল বিভিন্ন আইনি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আইন ছিল এক একটা কেন্দ্রে একজন প্রার্থী একজন করে পোলিং এজেন্ট থাকবেন কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি একাধিক পোলিং এজেন্ট ছিল, একটি দল, পার্টি প্রার্থীর জন্য। যখন একজন ভোটার ফাইনালি গোপন কক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়েছিলো তখনো গোপন কক্ষে একজন মানুষকে দেখা গেছে যারা সহযোগিতার নামে ভোটারদের ঠেকানোর জন্য।

তিনি বলেন, বলা হয়েছিলো ইভিএমে রেজাল্ট অতি দ্রুত, ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট দেয়া হবে। তার মানে রাত ৯ টার মধ্যে সকল রেজাল্ট প্রকাশ করা উচিত ছিলো কিন্তু আমরা দেখলাম রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ভোর ৪টা পর্যন্ত। এরপরও আমরা শুধু মৌখিক রেজাল্ট পেয়েছি। লিখিত কোন রেজাল্ট আমরা পাইনি। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের তাদের কাজের কোনো মিল নেই। আমরা মনে করি এখানে ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং চুরি করা হয়েছে, অনেক ভোট বদলানো হয়েছে। সে কারণে ভোর ৪টা পর্যন্ত তাদের সময় লেগেছিলো।

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বলা হয়েছিলো কন্ট্রোল ইউনিট এর প্রিন্ট দেয়া হবে কিন্তু আমরা একগনো তা পাইনি। অপেক্ষায় আছি, আদো পাবো কিনা এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ অবশ্যই আছে।

তৃতীয় হলো, সমস্ত লগ রাখা যায় আমরা শুনেছি। যদি সমস্ত লগ রাখা হয়ে থাকে আমরা দাবি জানাচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকে সকলের সামনে স্বচ্ছ থাকার জন্য এই লগ পেশ করা হোক। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারব কন্ট্রোল ইউনিট এ কি লেখা ছিলো রেজাল্ট কি এসেছে, ফাইনালি মৌখিক রেজাল্টে কি আমরা পেয়েছি।

২৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছিলো সেখানে বলা হয়েছে, বিকেল ৬টার মধ্যে সমস্ত রেজাল্ট যেন প্রার্থীদের কাছে রিটার্নিং কর্মকর্তা পেশ করে দেন কিন্তু তারা সেই গাইডলাইন ফলো করেনি।

৩টি আইনের মধ্য দিয়ে ঢাকা নির্বাচন সিটি করপোরেশন পরিচালনা করা হয়েছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে বলা হয়েছে কোনো ভয়-ভীতি দেখানো যাবে না, কারা কারা নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন তাদের তালিকা দেয়া হয়েছে কিন্তু এগুলো মানা হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ অফিসার কেউ এই আইনের আওতায় দায়িত্ব পালন করেনি। আজো এদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এতে বুঝা বুঝা যায় এবং নির্বাচন কমিশন তারা বাংলাদেশের আইনের প্রতি আন্তরিক নয়।

ইভিএমের আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবহার করার আগে, এতে যে শুন্য লিখা আছে এটি দেখে ফর্ম ফরম -৩ এ পোলিং এজেন্টের সাইন করাতে হবে। কিন্তু সেটা আজও আমরা দেখি নাই।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়