সৌরভ ঘোষ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ইরি-বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে। তাই শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই ইরি-বোরো লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীরা। আবহাওয়া অনুুকুলে থাকা ও বাজারে কৃষি উপকরণের (সার ও তেল) সমস্যা না হলে ইরি-বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা তাদের। তবে ধানের দাম বাড়ানোর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন কৃষকরা।
কুড়িগ্রামকে ঘিরে রয়েছে ১৬টি নদ-নদী। প্রাকৃতিকভাবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলেও আগাম ঝড়-বৃষ্টিতে এ অঞ্চলে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলের তোড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। প্রতি বছরই এই অঞ্চলের কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষে মনোনিবেশ করে থাকে। এখানকার মানুষ একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই শিল্প কারখানা। তবে কৃষি জমি গুলোতে ভালো ফসল হয়।
ইরি-বোরো পাশাপাশি সরিষা, গম, আখ, বাদাম, কাউন, চিনা, তিল, তিশিসহ নানা জাতের ফসল ফলে। উৎপাদিত ফসল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে কয়েক হাজার টন খাদ্যশস্য অনান্য জেলায় রপ্তানিও করা হয়।
রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্র জানায়, চলতি বছরে রৌমারীতে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। গতবছর প্রবল বন্যা হওয়ায় জমিতে কিছুটা পলিমাটি ও ময়লা আবর্জনা পচেঁ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :