শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৭ দুপুর
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর ব্যয় বাড়ছে, গাড়ি চলছে হাতের ইশারায়

সুজিৎ নন্দী: স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য গত দুই দশকে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা। কিন্তু কাজ হচ্ছে পুলিশের হাতের ইশারা। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রকৌশলী বিভাগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু জনবল বরাদ্দ দেয়া হয়নি। নীতিমালা প্রস্তুত হয়েছে। দ্রুতই আমরা সিটি করপোরেশনের কাজ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেব।

সদ্য নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হবে। এক্ষত্রে সংসদ সদস্য, ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আমরা আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা তৈরি করবো। দায়িত্ব গ্রহণের পরেই আমরা সভার আহ্বান করবো।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের পর ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে’ সভা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক সংকেত বাতি এবং ট্রাফিক সংকেত নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া কথা ছিল সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এখনো সংকেত বাতিগুলো বুঝে নেয়নি পুলিশ।

ডিএসসিসির প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, ২০০০ সালে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে (প্রায় ২৫ কোটি টাকা) ঢাকা শহরে গুরুত্বপূর্ণ ৭০টি মোড়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত বাতি বসানোর কাজ শুরু হয়। ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় এই কাজ শেষ হয় ২০০৮ সালের দিকে।কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার না হওয়ায় অল্প দিনেই অধিকাংশ বাতি অকেজো হয়ে পড়ে।২০০৯ সালের নভেম্বরে নগরের অর্ধশতাধিক মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে স্বয়ংক্রিয় সংকেত বাতি ব্যবহার করে পুলিশ। তিন-চার দিনের মাথায় আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

২০১০-১১ অর্থবছরে ‘নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস)’ নামে আরেকটি প্রকল্প নেয় সিটি করপোরেশন। তখন প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত সরঞ্জাম কেনা হয়। ২০১৫ সালে কাকলী থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ১১টি পয়েন্টে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু চালুর পরেই তীব্র যানজটে পুরো ঢাকা স্থবির হয়ে পড়ে।

২০১২ সালে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়ে ‘আধা স্বয়ংক্রিয়’ ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয় কেইস প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে গত সাত বছরে নগরের বিভিন্ন স্থানে ৩২টি নতুন সংকেত বাতি বসানো হয়। তা নিয়ন্ত্রণ করা জন্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের হাতে দেওয়া হয়েছে রিমোট কন্ট্রোল। যে সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকবে, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা সেখানে সবুজ বাতি জ্বালাবেন, অন্য সড়কে তখন লাল বাতি জ্বলবে। কিন্তু বাস্তবে এই প্রকল্পও কোনো কাজে আসেনি। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, এই ৩২টি সিগন্যাল বাতি স্থাপন ও বিদ্যমান বাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণে ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়