আসিফুজ্জামান পৃথিল: বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে স্বদেশে ফেরা বেশ কয়েকশ রোহিঙ্গা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানিয়েছেন, তারা এখনও নিজেদের প্রকৃত গ্রামে ফিরতে পারেননি। সংঘাত কবলিত রাখাইন রাজ্যে তাদের টিকে থাকতে প্রবল লড়াই করতে হচ্ছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া
বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি করলেও রোহিঙ্গারা বড় পরিসরে স্বদেশে ফিরতে রাজি হয়নি। কারণ হিসেবে তারা বৈষম্য এবং দেশটিতে জাতিগোষ্ঠীটির উপর নির্যাতনের কথা বলছে।
চৌবি নামে এ রোহিঙ্গা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে তাঙবায়ো সীমান্ত চৌকি দিয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করেন। তিনি আড়াই বছর বাংলাদেশের থানখালি রোহিঙ্গা শিবিরে কাটিয়েছেন।
তিনি ফিরে এসে দেখেন তার গ্রাম সম্পূর্ণ জনশূণ্য অবস্থায় পরে আছে। তার পক্ষে শহরে বাড়ি ভাড়া নেয়া সম্ভব না হওয়া তিনি অন্য রোহিঙ্গাদের একতাবদ্ধ করছেন নিজেদের গ্রাম পুর্নগঠনের জন্য।
তিনি জানান, ১০টি পরিবারকে রাজি করাতে পারলে তিনি তার গ্রাম অংডং-এ আবারও বসতি স্থাপন করবেন।সব মিলিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও মাত্র ৬২৪জন ফিরেছেন বলে বুথিডং এবং মংডু জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়া।
মংডুর ডিসি সোয়ে অং জানিয়েছেন, ফেরত যাওয়া ব্যাক্তিরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় তালিকাভুক্ত নন।
আপনার মতামত লিখুন :