শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৮:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি নেই, গড় অর্থ ব্যয় হয়েছে ২২ শতাংশ

বিশ্বজিৎ দত্ত : নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম, প্রকল্পটির ৪র্থ পর্যায় চলছে। এর মেয়াদ ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। এ জন্য সরকারের বরাদ্দ ১শ ১৫ কোটি টাকা। নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পে সরকার প্রায় ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও মন্ত্রণালয় এই টাকা খরচ করতে পারেনি। তারা খরচ করেছে ১২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তাদের অগ্রগতি ২২ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক, ড. আবুল হোসেন বলেন, টাকা বরাদ্দ থাকলেই তো হবে না। প্রকল্পে লোকবল নিয়োগ হয়নি। কাদের নিয়ে কাজ করবো। তাই কাজের অগ্রগতি হয়নি।

স্ট্রেংদেনিং জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট এই প্রকল্পের বরাদ্দ রয়েছে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো, জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রনয়ণে কর্মকর্তাদের ট্রেনিং ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এই কাজে অর্থমন্ত্রণালয় ৮৭ লাক টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প প্রধান তা খরচ করেছেন মাত্র বরাদ্দের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ এই প্রকল্পের কোনো কাজই হয়নি।

প্রকল্প পরিচালক ফেরদৌসি বেগম জানান, প্রকল্পে ৪জন কনসালটেন্ট রয়েছেন তারই ট্রেনিং প্রোগ্রামের কাজ করবেন কিন্তু তারা কাজ করছেন না। আমি তাদের অর্থ দিয়ে দিব কেন।

এক্সিলারেটিং প্রেটেকশন ফর চিল্ড্রেন, প্রকল্পের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় দেশের ২৫টি জেলা, ৫০ উপজেলা ও ১১টি সিটি করপোরেশনে শিশু অধিকারের আইনগত, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, ডেমোগ্রাফিক ও পরিবশেগত বিষয়ে পর্যালোচনা করবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত। এই প্রকল্পেও বরাদ্দ ১১৫ কোটি টাকা। সরকার এই অর্থ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পে বরাদ্দ দিয়েছে ১৮ লাখ টাকা। মন্ত্রণালয় ব্যয় করেছে মাত্র ১৩ শতাংশ টাকা।

ইনভেস্টমেন্ট কমপোনেন্ট ফর ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলাপম্যান্ট প্রোগ্রাম। এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে ২০১৮ সালে। শেষ হওয়ার সময় ২০২১ সালে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ অতি গরীব মহিলাকে টেকসই জীবন যাপনের সহায়তা প্রদান, ১ লাখকে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, ১ লাখ দ্ররিদ্র মহিলাকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের অভ্যাস করানো ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ চাল ও নিবির উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ দেয়া। এই প্রকল্পটির পরিচালক একজন অতিরিক্ত সচিব। এখানে কোনো কাজই একনো শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে কোন ব্যায় বা বরাদ্দ দেখানো হয়নি।

এ বিষয়ে সচিব কাজী রওনক আক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি একমাস হলো দ্বায়িত্ব নিয়েছি। সব বিষয়ে বলতে পারবোনা। প্রকল্প কেন হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে শিঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডাকবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়