শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইয়াবার ছড়াছড়ি, অন্যতম রুট দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র সীমানা

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ইয়াবা ব্যবসা তুঙ্গে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, আগের চেয়ে ইয়াবা ব্যবসা অনেকটা কমেছে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডে নজরদারির কারণে ইয়াবা পাচারের রুট এখন দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র সীমানা বেছে নিয়েছে পাচারকারীরা।

বিশেষ করে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বাগেরহাট ও নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দেশে সবচেয়ে বেশি ইয়াবা প্রবেশ করাচ্ছে পাচারকারীরা। এছাড়া কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম থেকে বিমানে করে ঢাকায় ইয়াবা আনছে পাচারকারীরা।

এদিকে গত সোমবার টেকনাফে ২১ মাদক কারবারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে। এর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পন করেন। এরপরও ইয়াবা ব্যবসার লাগাম টানতে পারছে না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ইদানীং মেয়েদেরকে মাদক পাচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নারীদের এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছে, ওরা শুধু বহনকারী মাত্র। অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের একটা অংশের আত্মসমর্পণের ঘটনাকে সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটা বড় সাফল্য হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ি, ইয়াবার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি সংখ্যক ইয়াবা উদ্ধার করেছে। আর সারাদেশে আটক হয়েছে ২ লাখ ইয়াবা ব্যবসায়ী। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, মাদক নির্মূূূল হোক এবং সে লক্ষ্যে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বড় বড় শহরে মাদক বিরোধী অভিযানে তারা আশানুরূপ সফলতা পাচ্ছেন। কিন্তু তাদেরকে বেগ পেতে হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে।

এ ব্যাপারে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, সমাজে মাদক বিশেষ করে ইয়াবা বিক্রি বন্ধ করতে হলে এর চাহিদা আগে বন্ধ করতে হবে। এজন্য সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। র‌্যাবের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড সবাই ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে পারব না ততক্ষণ পর্যন্ত ইয়াবা ব্যবসার লাগাম টানা সম্ভব হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়