শাহানুজ্জামান টিটু : নিজেদের সাংগঠনিক দূবর্লতার কথা অস্বীকার করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম বলেন, প্রায় ৫বছর ধরে আমরা প্রতিবাদ করে আসছি। কিন্তু এতে সরকারের টনক নড়ানো যায়নি। তাই প্রথমবারের মত হরতাল দিয়ে প্রতিরোধ শুরু করা হয়েছে।
সিটি নির্বাচনে মানুষ আরেকটি কলঙ্কজনক নির্বাচন দেখলো। আমাদের প্রস্তুতি ছিলো। কিন্তু সরকারের প্রশাসনের পক্ষপাতিতের কারণে ভোট কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্টারা ঢুকতে পারেনি। ভোটের আগের রাতে দলের নেতাকর্মীদের প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি শাসিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। কেন্দ্র পাহারা দেবে কিভাবে? যখন রাষ্ট্রের বাহিনী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস তৈরী করে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মেলায় তখন তো কিছু করার থাকে না।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সমস্যা হলো বিএনপিকে সরকার, পুলিশ, প্রশাসন এবং সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন যদি নূন্যতম নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীল ভ‚মিকা রাখতো তাহলে ভিন্ন একটি নির্বাচন হতো। তখন নেতাকর্মী পোলিং এজেন্ট সবাই থাকতো।
নির্বাচনের চারদিন আগে থেকেই এলাকায় এলাকায় স্বেতসন্ত্রাস হয়েছে। তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসীদের এনে জড়ো করেছে। তারাই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতায় ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দল হিসেবে বিএনপির সাংগঠনিক ব্যর্থতা, ভোটারদের উজ্জীবিত করতে না পারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পেছনে কাজ করছে। দলের নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে যাওয়ায় তারা নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। নেতাকর্মীরা যেখানে আস্থাহীনতা ভোগে সেখানে তাদের ভোটাররা বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। এ কারণে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :