জেরিন: দেশে ক্যান্সারে বছরে মারা গেছে প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ।
আবার খাদ্যভাস ও পরিবেশ দূষনের কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। ডিবিসি নিউজ
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সার ধরা পড়লে মনোবল শক্ত রাখতে হবে। উপযুক্ত চিকিৎসা নিলে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উজ্জীবিত করতেই এবারের বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য ''আমি আছি, আমি থাকব-ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে'।
তামাক সেবন, পরিবেশ দূষণসহ নানা কারণে দেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ আট হাজারের মতো মানুষ মারা যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বছরে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ মারা যাবে।তবে ভাল খবরও আছে, ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার সংখ্যাও বাড়ছে।
বিএসএমএমইউ গাইনী অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা ক্যান্সার প্রসঙ্গে বলেন, 'বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন করে নারী এবং পুরুষ মিলিয়ে দেড় লাখ মতো নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে।
এগুলো কিন্তু বেশি ভাগই টোব্যাকো রিলেটেড। আর মহিলাদের কথা যদি বলি, প্রতি বছর প্রায় ১৩ হাজার মহিলা নতুন করে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর দুই নাম্বারে আছে জরায়ুর মুখের ক্যান্সার।
প্রতি বছর অনেক রোগী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও, চাহিদার তুলনায় চিকিৎসা সুযোগ কম। ক্যান্সার প্রতিরোধে সুস্থ জীবন-যাপন, প্রাথমিক অবস্থায় রোগ-নির্ণয়, সবার জন্য চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা আরও বলেন, 'ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য টোব্যাকো পরিহার করতে হবে। পরিবেশেরের উন্নয়ন করতে হবে।'
আপনার মতামত লিখুন :