সিরাজুল ইসলাম: ঢাকার দুই সিটি- উত্তর-দক্ষিণে দেড় ডজন ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী হেরেছেন দলের বিদ্রোহীদের কাছে। তবুও তাদের বিষয়ে দলের কঠোর মনোভাব নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তৎপর ছিলো আওয়ামী লীগ। তারপরও অন্তত শ’খানেক থেকে যান মূল লড়াইয়ে।
আওয়ামী লীগ উত্তরে ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত এবং দক্ষিণের ৭৫টি সাধারণ ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে দলে কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলো। কিন্তু শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে দেড় ডজন ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
তারা হলেন দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মামুনুর রশিদ শুভ্র (লাটিম), ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে কামাল উদ্দীন কাবুল (মিষ্টি কুমড়া), ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ইরফান সেলিম (টিফিন ক্যারিয়ার), ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জুবায়ের আদেল (টিফিন ক্যারিয়ার), ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে শামসুজ জোহা (ঠেলাগাড়ি), ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে রুহুল আমি (ব্যাডমিন্টন), ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হোসেন (ঘুড়ি), ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন মজুমদার (কাঁটাচামচ), ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইব্রাহীম (লাটিম), ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে সালাউদ্দীন আহমেদ (ঘুড়ি) এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে আজিজুল হক (ট্রাক্টর)।
এছাড়া ঢাকা উত্তরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাইজুল ইসলাম বাপ্পি, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ুন রশিদ জনি, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে আউয়ুব আনসার মিন্টু, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম মোল্লা বিজয়ী হন।
বিদ্রোহীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন দিলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে বিদ্রোহীর ব্যাপারে আমরা কঠোর ছিলাম না। তাছাড়া কাউন্সিলর পদে দলীয় মার্কা ছিল না।
এখন অনেকেই জয় পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর কোনো মনোভাব আমাদের নেই। সূত্র: বিডিনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :