দীপু তৌহিদুল : ইভিএম ভোটের অভিজ্ঞতাটা আওয়ামীপন্থীদের মনে হয় সব চাইতে বাজে হয়েছে। তারা এমনিতেই যাদের দিতো। কিন্তু তাদের হয়েই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত রাজনৈতিক কর্মীরা সহযোগিতার নামে সেটা করে দিয়েছে। তাদের সামনাসামনি বক্তব্য হতে যা বুঝতে পেরেছি। নিজের হাতে ভোট দিতে পারার সুখ হতে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আসলে পন্থী বিষয়টা চেহারায় লেখা থাকে না বলেই হয়তো এই বিভ্রাট ঘটেছে।
দেশে অবিশ্বাসের বিস্তৃতিটা এতো ব্যাপক হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও নিজেদের দলীয় সমর্থকদের উপর আস্থা হারিয়েছে। আস্থাহীনতা থেকেই দলীয় কর্মীরা এটা করতে বাধ্য হয়েছেন আমার মতে। ইভিএমের বোতাম কে কই টিপ দিয়ে বসে তারও তো আসলে গ্যারান্টি ছিলো না। অন্ধ সমর্থকদের জন্য এটাই খুব উচিত হয়েছে, তারা কখনো আগে-পরে নিরপেক্ষ ভোটাধিকার প্রয়োগের পক্ষে ছিলেন না। এদের অভিজ্ঞতাগুলো শুনে রাজনৈতিক দলের ছাতাহীন হিসেবে ভীষণ মজা পেয়েছে।
ভোটের সময় রাজনৈতিক দল চিন্তাটা রাখাটা সু নাগরিক সুলভ চিন্তা নয়। আপনার দল মন্দ লোককে প্রার্থী করলে আপনি বাধ্য নন তাকে ভোট দেওয়ার জন্য। আপনাকে ভোট দেওয়ার সময় শুধু রাষ্ট্র হিসেব করে ভোট দিতে হবে। রাষ্ট্র আপনার, যাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রের জন্য ভালো হবে তাকে ভোট দেয়া দলীয় চিন্তার সঙ্গে না মিললেও তাকে দেওয়াটা উচিত কর্তব্য। এই ইস্যুতে আবেগ শতভাগ পরিত্যাজ্য। নিজে এই ফালতু আবেগটা নিয়ে চলি না, আর যে এটা ধারন করে তাদের রাষ্ট্র কেন্দ্রিক নয় দল কেন্দ্রিক মনে করি।
ভালো মানুষ আর সুস্থ নিরপেক্ষ ভোটটা চাই রাষ্ট্রের ভালোর জন্য, রাষ্ট্রের ভালো হলে অটো আমরা নাগরিকরাও ভালো থাকবো। দলপ্রেম মন্দ, এটা যতো দ্রুত বুঝবেন ততো অসুস্থ কাজ কমতে শুরু করবে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিজের ‘মনের বিয়ে বসা’ থেকে বিরত থাকুন।
আপনার মতামত লিখুন :