শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:০৭ সকাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শস্য উৎপাদন বাড়াতে ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প

বাংলা ট্রিবিউন : দেশের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ৬৭ উপজেলায় শস্য নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আপাতত উৎপাদনের এই হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়াতে প্রকল্প গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে ধানের উৎপাদন ১২ শতাংশ, গমের উৎপাদন ১০ শতাংশ, ভুট্টার উৎপাদন ১০ শতাংশ, ডাল জাতীয় ফসলের উৎপাদন ১২ শতাংশ, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন ১২ শতাংশ, মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন ১৩ শতাংশ, সবজির উৎপাদন ১৫ শতাংশ এবং ফলের উৎপাদন ১৪ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফসলের নিবিড়তা বাড়বে ২৩৭ থেকে ২৪২ শতাংশ। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জয়পুরহাট এই ৮ জেলার রাজশাহীর পবা, চারঘাট, মোহনপুর, তানোর, গোদাগাড়ি, পুঠিয়া, বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা, নাটোর জেলার সদর উপজেলা, বড়াইগ্রাম, গুরুদাশপুর, লালপুর, বাগাতিপাড়া, সিংড়া, নলডাংগা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট, নওগাঁ সদর উপজেলা, আত্রাই, রাণীনগর, মহাদেবপুর, বদলগাছি, নিয়ামতপুর, মান্দা, পোরসা, সাপাহার, ধামইরহাট, পত্নীতলা, বগুড়া সদর উপজেলা, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, সারিয়াকান্দি, নন্দীগ্রাম, সোনাতলা, গাবতলী, দুপচাঁচিয়া, ধুনট, আদমদীঘি, কাহালু, সিরাজগঞ্জ উপজেলা সদর, রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কামারখন্দ, চৌহালি, কাজীপুর, পাবনা সদর উপজেলা, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, বেড়া, সাঁথিয়া, সুজানগর, জয়পুরহাট সদর উপজেলা, আক্কেলপুর, কালাই, পাঁচবিবি ও ক্ষেতলাল এই ৬৭ উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)।

এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় শুধু শস্য উৎপাদন বাড়ানোই নয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় নিরাপদ উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হবে, কৃষকদের আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ড ও দক্ষতা বাড়বে। একইসঙ্গে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় কমানো সম্ভব হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ১৪৭ কোটি দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীনভাবে সংযুক্ত অননুমোদিত নতুন প্রকল্প এবং নতুন অননুমোদিত প্রকল্পের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রকার মাঠ ফসল, যেমন- ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেল, উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল, যেমন- ফল, সবজি, মসলা ও কৃষির বিভিন্ন প্রযুক্তির ২৫ হাজার ৮২০টি প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। ২ হাজার ৯৮১ ব্যাচ কৃষক, ২০০ ব্যাচ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) ও ৪০ ব্যাচ কৃষি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষক গ্রুপের মধ্যে ৫ হাজার ৭৯৫টি ক্ষুদ্র কৃষি মেশিনারি দেওয়া হবে। ফল ও সবজি সাময়িক সংরক্ষণের জন্য ৪৫টি জিরো এনার্জি কুল চেম্বার স্থাপন করা হবে। পরিবর্তিত জলবায়ুর ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ শাকসবজি ও ফল বছরব্যাপী উৎপাদনে ৬৭টি পলিনেট হাউজ নির্মাণ করা হবে। ২টি ৪ টন এবং ১টি ৮ টন পরিমাণের মিনি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করা হবে এবং রাজশাহী ও বগুড়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আঞ্চলিক অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রকল্পটির কার্যক্রম সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তি পদ্ধতির প্রবর্তন, আধুনিক কৃষিচর্চা আত্তীকরণকে উৎসাহিত করা, উৎপাদন বাড়ানো ও একটি টেকসই ভিত্তিতে গ্রাম অঞ্চলের কৃষি পরিবারের প্রকৃত আয় বাড়ানো সহজ হবে। এসব দিক বিবেচনা করেই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

প্রকল্প প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগের বিস্তীর্ণ সমভূমির উঁচু ও মাঝারি উঁচু অঞ্চলে বিদ্যমান ফসলের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োগ, নতুন ফসল অন্তর্ভুক্তকরণ, উচ্চমূল্যের ফসল চাষসহ জলবায়ুর ঝুঁকি এড়াতে সক্ষম লাগসই কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বাড়ানোর পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ কারণেই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।’ পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগেও এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়