শিরোনাম
◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাচোল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ

জোহরুল ইসলাম জোহির, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম এর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সোমবার(০৩.০২.২০২০) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন ১২জন ইউপি সদস্য ।

অভিযোগ লিপিতে ১২জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে শপত গ্রহনের পর ১ম অধিবেশনে সকল সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এরপর ১বছর অতিবাহিত হলেও কোন মিটিং আহবান করেননি। ইউপি সদস্যরা বারবার তাগাদা দিলেও কোন ধরনে অগ্রগতি হয়নি।

অভিযোগকারীরা অভিযোগলিপিতে উল্লেখ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যের ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বর মাস হতে ২০২০সালের জানুয়ারী মাসের অর্থ্যাৎ ২৯ মাসের সম্মানিভাতা পরিষদের কাছে পাওনা রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের নিকট এ ভাতা চাইতে গেলে সদস্যদের ওপর চড়াও হন। সেই সাথে পরিষদ থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেন। এছাড়া রাজস্ব/এডিপির প্রকল্পসমূহ সদস্যদের সাথে আলোচনা না করে তার মতাদর্শের জনৈক সদস্যকে প্রকল্প সভাপতি করে ২০% লভ্যাংশে কাজ করান। ১%এর টাকার বিপরীতে চেয়ারম্যান নিজেই ইচ্ছামত প্রকল্প তৈরি করে টাকা উত্তোলন করেন। মিটিং এর সিদ্ধান্ত ছাড়াই গাড়ির ট্যাক্স/নন হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ও ওয়ারিশনের টাকা উত্তোলন ও ব্যয় করেন। যা ইউপি সদস্যরা জানেনা। ইটভাটার বকেয়াসহ ৭বছরের ট্যাক্সের ৫লক্ষ টাকা আদায় কোন খাতে ব্যয় করেছেন তা সদস্যরা কেউ জানেনা। সভায় কোন সদস্যদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই তিনি ৩জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ প্রদান করেছেন। এলজিএসপির অধিকাংশ টাকা চেয়ারম্যান নিজের খেয়াল খুশি মত বরাদ্ধ দেন। কোন ক্ষেত্রে সদস্যদের দিয়ে বরাদ্ধ বাস্তবায়ন করানো হলে সদস্যের নিকট থেকে ২০%উৎকোচ নিয়ে থাকেন। হাট, ঘাট, খোয়ার থেকে আয়কৃত টাকা কোন হিসাব দেওয়া হয়না। ভিজিএফ, ভিজিডি’র বরাদ্ধকৃত চাউল ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ না করে বহিরাগত লোকজন দিয়ে বিতরণ করেন। তাছাড়া ভিজিডির বরাদ্ধকৃত চাউল কোন দরিদ্র ব্যক্তি যদি নির্ধারিত মাসে উত্তোলন করতে না পারলে পরের মাসে থাকে ওই চাউল প্রদান করা হয়না। কয়েক মাস আগে জি.আর এর উত্তোলকৃত চাউল কী হয়েছে তা ইউপি সদস্যরা অবগত নন। তাছাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধের বিষয়ে সদস্যদের জানানো হয়না বলে অভিযোগলিপিতে উল্লেখ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাচোল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে সকল ইউপি সদস্যরা সোমবার বিকালে আমার কাছে এসেছিলো। বিষটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়