শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো সফলতা দেখাতে পারেননি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিটি নির্বাচনের আগে দলের দায়িত্বশীল নেতারা বলেছিলেন, ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কিন্তু ভোটের দিনের চিত্র ছিলো একেবারেই বিপরীত। কেন্দ্রগুলোতে কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীরা ছিলেন না। পোলিং এজেন্ট ছিলো না কেন্দ্রে। যদিও নেতারা আত্মতৃপ্তিতে থাকছেন সরকার ও ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন এই বলে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। রাজধানীতে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি তলানিতে ঠেকেছে।
যার প্রমাণ মিলেছে, নির্বাচনে পরাজয়ে রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সুপার ফ্লপ। নয়াপল্টন ছাড়া কোথাও হরতালের সমর্থনে কোনো মিটিং বা পিকেটিং দেখা যায়নি। কোথাও নামেনি দলের নেতাকর্মীরা। সবই চলেছে নিত্যদিনের মত।
ঢাকায় বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি আদৌ আছে কিনা, এ প্রশ্ন আবারো সামনে এসেছে। আর কতদিন ভঙ্গুর সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে ঢাকা বিএনপি চলবে।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দলের মধ্যে অনেক নেতা আছেন যারা দিনে বিএনপির রাতে আওয়ামী লীগের। এভাবে আর যাই হোক সংগঠন হবে না। সামনে যখন কোনো নির্বাচন আসে নীতিনির্ধারকরদের কেউ কেউ অংশগ্রহণে অতিআগ্রহী হয়ে উঠেন। কথায় কথায় তারা বলেন এতে অংশ নিয়েছি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে। বর্তমান মহাসচিব ও দলের স্থায়ী কমিটিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের দুরদৃষ্টি অভাবের কারণে বারবার পথ হারাচ্ছে বিএনপি বলে মনে করেন এসব নেতারা।
আপনার মতামত লিখুন :