শাহীন খন্দকার: শ্যামলী ৬৬৩ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বহুল প্রচলিত ধারণাসমূহ এবং এই ভাইরাস ভয়ঙ্কর সমস্যার সম্ভব্য সমাধানের লক্ষ্যে পরিচালিত গবেষণার বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি শীর্ষক সেমিনারে গতকাল রোববার চিকিৎসকরা বলেন, ভাইরাস মোকাবেলায় আরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ সফি আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত নয়, সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই ভাইরাস একজন মানুষ হতে আরেক জন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায়। রোগটি সম্পর্কে পরিচালক বলেন, জ্বর এবং কাশি থাকে। শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়ায় ভুগবে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন সময় নেয়। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহ পরে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট।
এই ভাইরাস থেকে প্রতিকার সম্পর্কে পরিচালক বলেন, যেহেতু এই ভাইরাস নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনও নেই। তাই চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক। তবে ইতিমধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছে বা ভাইরাস বহন করছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :