ইয়াসিন আরাফাত : গত তিন মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানলে হাজার হাজার কোয়ালা মারা যাওয়ার পর নতুন এ ঘটনাটি প্রকাশ করেন হেলেন ওয়াকলেই নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা।তিনি গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করে বলেন, সেখানে অনেক কোয়ালা মরে পড়ে আছে। মা কোয়ালা ও তাদের বাচ্চারা মারা গেছে। এই ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার লজ্জিত হওয়া উচিত। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করি। বিবিসি
জানা যায়, কোয়ালার প্রধান আবাসস্থল হচ্ছে ব্লু গাম নামের এক ধরনের গাছ। গত ডিসেম্বরে ভিক্টোরিয়া প্রদেশে ওই ব্লু গাম গাছের একটি বনাঞ্চল কাটা হয়েছিলো।এসময় ঠিকাদাররা গাছ কাটার জন্য কিছু বুলডোজারগুলো ব্যবহার করেছিলো। পরে সেখানে কিছু কোয়ালার মরদেহের সন্ধান মেলে। ধারণা করা হচ্ছে, বুলডোজারগুলোর নিচে চাপা পরেই কোয়ালা গুলোর মৃত্যু হয়েছিলো। এছাড়া বেশকিছু প্রাণীসহ প্কেরায় ৮০ টি কোয়ালাকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেগুলোকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা।
এনভায়রনমেন্টাল গ্রুপ ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ অস্ট্রেলিয়া বলছে, ‘ডিসেম্বরে গাছ কাটার পরও সেখানে শত শত কোয়ালা এসেছিলো। সেখানকার লোকজন দেখেছে, বুলডোজার দিয়ে সেগুলোকে মেরে ফেলতে।’ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির পরিবেশ, ভূমি, পানি ও পরিকল্পনা বিভাগ জানিয়েছে, কোয়ালা মৃত্যুর ঘটনায় বিচার শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা অ্যানিমেলস অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ‘এসব মূল্যবান প্রাণীদের সুরক্ষা দিতে আমরা ঘটনাস্থলে তদন্ত দল পাঠিয়েছে। আমরা সেখানে কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সম্ভবত সেখানে অ্যানিমেলস অ্যাক্টসহ (প্রাণী সুরক্ষা আইন) অন্যান্য আইন লঙ্ঘন করে এসব কাজ করা হয়েছে। আমরা আইন অনুযায়ী বিচার করতে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দেবো।’
আপনার মতামত লিখুন :