সাইদুর রহমান : সত্যিহ অবাক। বিএনপি এতো ভোট পেলো কীভাবে? বেশিরভাগ কেন্দ্রে দলটির এজেন্ট ছিলো না। দৃশ্যমান ভোট সুষ্ঠু হলেও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ছিলো নিয়ন্ত্রিত। ইভিএমের গোপন কক্ষে ভোট দিতে হয়েছে প্রকাশ্যে, নয়তো ব্যালট ইউনিটের কনফার্ম ব্যাটন ভোটারের কষ্ট না দিয়ে কক্ষের নিয়ন্ত্রকরাই টিপেছে। কেন্দ্রে দেখা মেলেনি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মীর তাহলে ভোট দিলো কারা? দুপুর পর্যন্ত ভোট পড়ার হারও অনেক কম। কিন্তু রাতের চূড়ান্ত ফলাফল দেখে তো বিস্মিত। একি! এটাও সম্ভব। সংসদের ২০টির অধিক আসন নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করা জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভোট কতো জানেন? দক্ষিণ সিটিতে তিনি মাত্র সাড়ে ৫ হাজার। ফলাফল দেখুন আর যারা ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা ভাবুন। ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। বিএনপির তাবিথ আউয়াল পান ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট। দক্ষিণে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। বিএনপির ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান নিয়ে বলার কিছু নাই। কিন্তু ইভিএম যন্ত্রে দুই সিটিতে যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে বিএনপির পাঁচ লাখ লোক ভোট কখনোই পাওয়ার কথা না। ভোট আরও কম পাওয়ার কথা ছিলো। এতো ভোট পেলো অথচ ভোটের ফল বর্জন করে হরতাল আহবান করেও সাড়া পায়নি। একটি প্রশ্নই এখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো গোপন কক্ষেই হয়তো লুকিয়ে ছিলো বিএনপি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :