শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:১৬ সকাল
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরাম-আয়েশের কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি: ইসি সচিব

যুগান্তর : ছুটি পেয়ে ভোটাররা আরাম-আয়েশে থাকার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে যাননি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ছুটি পেয়ে অনেকে আরাম-আয়েশে কাটিয়েছেন। কেউ কেউ ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন। নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহƒত সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে তিনি প্রার্থীদের নির্দেশ দেন।

ঢাকা সিটি নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে দাবি করে সচিব আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো ছিল। কোথাও কোনো তেমন গণ্ডগোল হয়নি। কাউকে ভোট দেয়ার ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেননি। সবকিছুই সঠিক ছিল।

ভোটারদের আস্থাহীনতার কারণে এত কম ভোট পড়েছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনাস্থার কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি তা আমার কাছে মনে হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা ভোট দিলে তো এত কম ভোট পড়ত না। এর মানে হল, যারা সরকারকে সমর্থন করেন তাদের অনেকেই ভোট দিতে যাননি।

এ সময় অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে ভোটের হার অনেক কম। অস্ট্রেলিয়ায় মানুষ ভোট দিতে যান না। সে দেশটির সরকার ও নির্বাচন কমিশন কী ব্যর্থ? মোটেই না। এ জন্য সেখানে আইন করা হয়েছে, ভোট না দিলে ১০০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। তারা ১০০ ডলার জরিমানা দেন। এরপরও ভোট দিতে যান না। তেমনি নির্বাচন কমিশনও ব্যর্থ নয়। কারণ ভোটকেন্দ্রে আসার দায়িত্ব ভোটারের।

একজনের ভোট আরেকজন দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খুব অল্পমাত্রায় মিডিয়ার মাধ্যমে এ অভিযোগ পেয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটিও আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিশনে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলে তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভোটের এ হারে কমিশন সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, অসন্তুষ্ট না। তবে আরও হলে ভালো হতো। কারো ভোট কেউ দিয়ে দেয়নি। কাউকে ভোট দিতে বাধা দেয়া হয়নি। সবকিছুই ঠিক ছিল। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা যেভাবে প্রচার চালিয়েছে তাতে ভোটার উপস্থিতি আরও বেশি আশা করেছিলাম। তিনি জানান, নির্বাচনে উত্তর সিটিতে ২৫ দশমিক ৩০ ও দক্ষিণে ২৯ দশমিক ০০২ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ গড়ে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী অপসারণ প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, সোমবারের মধ্যে প্রার্থীরা নিজ দায়িত্বে পোস্টার অপসারণ করবেন। তা নাহলে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী অন্যরা সরাতে গেলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সব বিধান মেনে নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়