জান্নাতুন নাঈম প্রীতি : একটা খবরে দেখে খুব হাসলামÑ সিইসির নিজের ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি ভোট দিতে গিয়ে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি। ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে এক রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, ইয়াং জেনারেশন দেরি করে ঘুম থেকে উঠে বলে ভোটার কম। নিউজ করতে যাওয়া সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমানের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। রক্তাক্ত মাথায় রাস্তায় বসে আছেন তিনি। বাংলাদেশে ইভিএম প্যাটার্ন করা প্রথম বিজ্ঞানটি আমার আপন মেজো ভাই ড. আবদুল্লাহ মাসুম। বর্তমানে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। তিনি এ দেশে বিনা মূল্যে তার আবিষ্কৃত সর্ব প্রথম ইভিএমের এই প্যাটার্ন নির্বাচন কমিশনকে দিতে চেয়েছিলেন, তারা নেয়নি। কারণ এতে টাকা খাওয়া যাবে না।
তাদের কয়েক সদস্যের টিম করা লাগবে। সেই টিম দেশ-বিদেশে ঘুরবে, চা-পানি খাবে। না হলে কী ইজ্জত থাকে? বাংলাদেশের নির্বাচনের উপর বিশ্বাস, আস্থা, আশা উঠে গেছে অনেক আগেই। কাজেই কী লাভ এই সাজানো তামাশা করে? নির্বাচনের টাকা আসে সেই কৃষকের পকেট থেকে যে কৃষক ন্যায্য ধানের দাম না পেয়ে ফসলে আগুন ধরায়, সেই কৃষকের পকেট থেকে যে মেয়েকে লিচু কিনে না দিতে পেরে আত্মহত্যা করে, সেই গার্মেন্টসে কাজ করা মেয়ের পকেট থেকে যে বছরের পর বছর বেতন না বাড়লেও নিজের ছেঁড়া জামা পরে কাজে যায়, সেই পাটকল শ্রমিকদের পকেট থেকে যারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে বেতন না পেয়ে অনশন অনাহারে থেকে মারা যায়। নির্বাচন অনুষ্ঠানের টাকা ত্রিশ লাখ লোকের রক্তের দামে, সেই আড়াই লাখ বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার অসম্মানের দামে পাওয়া বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতি বর্গমাইলের সাধারণ মানুষের ঘামের টাকা... যারা জানতেই পারলো না একটা নির্বাচনমুখী সংবিধানের জন্য জান দিয়ে, পাকিস্তান নামের বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে তারা বাংলাদেশ নামের আরেকটা জাহান্নাম রেখে গেছে। আমার মাথা কাজ করে না এই ভয়াবহ অপচয় দেখে। কেবল বলতে ইচ্ছা করেÑ যদি তোষামোদ করে টিকে থাকো তুমি চুপ করে এই দেশে, তোমার গলাই টিপে ধরবে সেই নিস্তব্ধতা এসে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :