সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ব্যাপক হারে ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের শিমক্ষেতে। সবুজ পাতা হলদে হওয়ায় ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে । এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে- ভাইরাস নিরাময় যোগ্য নয় তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ রোগ দমন করা সম্ভব ।
বিস্তৃন এলাকা জুড়ে শিমচাষ হয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, নারগুন, গড়েয়া, সালন্দর ও পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও, ভোমড়াদহ , জাবর হাট এবং বৈরচুনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে । এই ফসল লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর শিমের আবাদ করছেন এলাকার কৃষক ।
তবে চারাগাছ বড় হয়ে মাচায় ওঠার সময় পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে সীমগাছের ।৩/৪ বছরে ধরে এই রোগ লেগে আছে শিমমক্ষেতে । কীটনাশক ছিটিয়ে ঘাতকরোগ সাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছেন চাষীরা । গাছ হলেও ফুল-ফল ঝড়ে পড়ায় কাংখিত ফলন পাচ্ছেন না তারা। এতে শিমচাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক ।
হঠাৎ করে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিশাহারা কৃষক। এমন দৃশ্যে এখন তারা রয়েছেন প্রত্যাশিত ফলন ঘরে উঠাতে না পারার দুশ্চিন্তায়।
সদর উপজেলা নারগুন ইউনিয়নের দুর্ভোগগ্রস্ত কৃষক রফিক,জালাল মিঞা,মানিক সহ একাধিক কৃষক জানান, নিজেদের ক্ষেতের শিম গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ রঙের মোজাইক করা পাতা দেখা যায়। বাড়ন্ত পর্যায়ের গাছের কাণ্ড ও পাতায় এ রোগের আক্রমণ। এ রোগের প্রাদুর্ভাবে শিম গাছ মারা গেছে অনেক কৃষকের। নানা জাতের ওষুধ ছিটিয়েও কোনো উপকার পাচ্ছেন না।
সদর উপজেলা গড়েয়াহাটের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের একজন ইসলাম উদ্দিন। প্রতিবছর রবিশস্য হিসেবে মাঠে শিম, বরবটি, শসা, করোলা, লাউ, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। ফলনও ভালো হয়। কিন্তু এ বছর ভাইরাস রোগের আক্রমণে তার বেশির ভাগ শিম গাছ মারা গেছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, ভাইরাস রোগ নির্মুল করা এই সক্ষমতা কৃষিবিভাগের নেই । তবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন রোগ প্রতিরোধের ।
চলতি বছর এ জেলায় শিম ,লাউসহ ৭ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে । তবে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২শ ৪৮ হেক্টর জমিতে । সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :