শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৫৩ সকাল
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউপি সদস্যসহ ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার অস্ত্র ও বিপুল ভূয়া সরঞ্জাম জব্দ

আবদুল অদুদ : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তাকৃতদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরের একটি দল বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গৌরিপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলিসহ বিভিন্ন ব্যাংকের বিপুল পরিমান ভূয়া সীল, লেনদেনের রশিদ এবং জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- ইদ্রিস মিয়া, ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম, আবু বক্কর সালাফি ও রুবেল। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়।

র‌্যাব-১১ সিনিয়র সহকারি পরিচালক মো. আলেপ উদ্দিন জানান, জাতিয়াত চক্রের মূল হোতা ইদ্রিস মিয়া গত তিন বছর আগে একটি হোটেলে চাকুরি করার সময় তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয় ভারতীয় সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও আন্তর্জাতিক জাতিয়াতি চক্রের সদস্য পশু ভাইয়ের সাথে। পশু ভাই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ হ্যাক করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন ও রেমিট্যান্স জালিয়াতি করে আসছিলেন। তার কাছ থেকে ইদ্রিস মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার নানা ধরণের অভিনব কৌশল রপ্ত করেন। পরে নিজ এলাকার ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম ও অপর দুইজনকে সাথে নিয়ে ব্যাংক জালিয়াতির একটি সংঘবদ্ধ দল গড়ে তোলেন। এরপর থেকেই এই চক্রটি ব্যাংক জালিয়াতির কাজ শুরু করে। তারা অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন্ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের ভূয়া ভাউচার, কর্মকর্তাদের ভূয়া সীল, স্বাক্ষর, পিন নম্বর এবং ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি তৈরি করে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। এই চক্রটি গত চার বছরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে। এসময় তাদের থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, গুলি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ভূয়া সীল, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৬টি ভূয়া লেনদেনের রশিদ, অর্থ গ্রহণের ভূয়া রশিদ, ১১ জনের ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৬টি ভূয়া ছবি এবং জাতিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার প্রিন্টার জব্দ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়