আমাদের সময় : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টানা ২১ দিন নির্ঘুম প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থী-সমর্থকরা। প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর হয়ে ওঠে ঢাকা। অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ সব জায়গাই ভোটের বাদ্যি বাজতে থাকে। প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে মাইকিং আর জনপ্রিয় কিছু গানের সুরে তৈরি করা গান বেজেছে সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত। এমন সরব ঢাকায় নির্বাচনী বাধ্যবাধকতায় গতকাল শুক্রবার সকাল (বৃহস্পতিবার মধ্যরাত) থেকে দুই সিটিতে নেমে আসে নীরবতা।
গতকাল রাস্তায় নেমে অন্য এক ঢাকার চিত্র চোখে পড়ে। রাস্তায় মানুষের ভিড় নেই, সড়কে নেই যানজট। পুরো নগরী ফাঁকা। শেকড়ের টানে ঢাকা ছাড়ার পর ঈদ উদযাপনের পরের দিন মহানগরীর যে অবস্থা হয় সে রূপে ফিরেছে। ঢাকার অলিগলিগুলোয়ও ছিল অনেকটা সুনসান। এমনকি ফুটপাতের চা স্টলগুলোয়ও ছিল না কোনো ভিড়। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যানবাহন চলাচলে নির্বাচন কমিশনের কিছু বিধিনিষেধ থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তা ছাড়া ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ মানুষের কর্মব্যস্ততাও তেমন ছিল না। এ কারণে গতকাল নগরীর চিত্র ছিল পুরোপুরি ভিন্ন।
শুক্রবার সকালে মহাখালী ওয়্যারলেস এলাকায় সাইদুর রহমান নামে এক স্থানীয় অধিবাসী জানান, গত এক মাস ধরে নির্বাচনী প্রচার চলেছে। দিনভর চলেছে মাইকিং। প্রার্থীদের নাম করে জনপ্রিয় সব গান বিকৃত করে চলেছে প্রচার। এ ধরনের প্রচারে একদিকে যেমন শব্দদূষণ হয়েছে, তেমনি নগরবাসীর বিরক্তিও ছিল। এসব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন মনে হচ্ছে অন্য এক নগরীতে আছি।
শুক্রবার দুপুরে কথা হয় শ্যামপুর পোস্তগোলার চা দোকানদার মো. শফিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, পুরো এক মাস ব্যবসা ভালো ছিল। দিনভর ছিল মানুষের ভিড়। তা ছাড়া নির্বাচন নিয়ে আড্ডা শুরু হলে সেটা যেন আর শেষ হতো না। এতে করে চা বিক্রিও বেড়ে যেত। কিন্তু আজকের চিত্র তার উল্টো যোগ করেন চা বিক্রেতা শফিক।
নগরীর বিভিন্ন রাজপথে এখন মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেলেও শুক্রবার নগরীর চিত্র ছিল ভিন্ন। এদিন সড়কে মোটরসাইকেল ছিল না বললেই চলে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। সড়কে যে দু-একটি মোটরসাইকেল দেখা গেছে, তাদের ঠেকাতে পুলিশ ছিল তৎপর।
আপনার মতামত লিখুন :