নিউজ ডেস্ক: ১. যদি শুধু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের দিন নিজের উম্মতকে দেখে খুশি হওয়ার কারণ হয়, তাহলে এই কারণটিই যথেষ্ট বিয়ের গুরুত্ব বোঝাতে। দৈনিক অধিকার
২. বিয়ে যদি মৃত্যুর পর নেক আমল (বিশেষভাবে নেক সন্তান) জারি থাকার কারণ হয়, তাহলে এই কারণটিই যথেষ্ট।
৩. এমন একটি বংশ যার উত্তরসূরিরা জন্মের পর আল্লাহর একত্ববাদ এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সাক্ষ্য দিবে, তবে বিয়ের মাধ্যমে এই বংশের উত্তরসূরি সৃষ্টির কারণটিই যথেষ্ট।
৪. বিয়ের মাধ্যমে গায়রে মাহরাম থেকে চোখের দৃষ্টি নিচু হয়ে যাওয়া ও লজ্জাস্থানের হেফাজত হওয়া—এটুকু হলে, তবে একারণটিই যথেষ্ট।
৫. বিয়ের মাধ্যমে কোন নারীর ইজ্জত হেফাজত হলে সেটিই বিয়ের ফজিলত হিসেবে যথেষ্ট।
৬. স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটায়, আমোদিত থাকে এবং তাদের নেকির পাল্লা ভারী হতে থাকে।
৭. বিয়ের মাধ্যমে স্বামী স্বীয় স্ত্রীর যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার সওয়াব পাবে, এই গুরুত্বটুকুই যথেষ্ট।
৮. ইসলাম এবং ইসলামের অনুসরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়া, আর এতে ইসলামের শত্রুরা রাগান্বিত হলে এটুকু যথেষ্ট। (এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আজকাল কাফির ও সেক্যুলাররা মুসলিমদের অধিক সন্তান ও বহু বিবাহ নিয়ে আপত্তি তুলে এবং তারা দুটোর বেশি সন্তান নিতে অনুৎসাহিত করে। তাই বিয়ের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বেশি বেশি সন্তান নেওয়া।
৯. অনেক ইবাদত আছে যেসব দুনিয়াবিমুখ করে না। কিন্তু বিয়ের পর যদি বান্দা দুনিয়াবিমুখ হয়, তবে বিয়ের ফজিলত হিসেবে এটিই যথেষ্ট।
১০. বিয়ের মাধ্যমে অন্তরের ইচ্ছা বা নফসের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করে দীন এবং দুনিয়ার জন্য উপকারী কাজে মশগুল হওয়া সম্ভব হলে এটিই যথেষ্ট।
১১. নিজের মেয়েদের উত্তমভাবে লালন-পালন করে, তাদের বিয়ের পর বিদায়ের কষ্ট সহ্য করেছে। ফলে ঐ মেয়েরা তার জন্য জাহান্নামের পথে ঢাল হয়ে যাবে, এটাই যথেষ্ট।
১২. দুটো বাচ্চার খুব অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করার ফলে তারা তার জান্নাতে যাওয়ার কারণ হয় বিধায় বিয়ের জন্য এই কারণটাই যথেষ্ট।
১৩. বিয়ের মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য পেলে এটিই বিয়েকে গুরুত্ববহ করার জন্য যথেষ্ট। কারণ যে তিন ব্যক্তির সাহায্য আল্লাহর জিম্মায় রয়েছে তাদের মধ্যে একজন পবিত্রতার জন্য, ঈমান বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিয়ে করা ব্যক্তি। [ইবনুল কাইয়িম, বাদায়িউল ফাওয়াইদ, ৩/১৫৯] অনুলিখন: জেবা আফরোজ