রাশিদ রিয়াজ : এই গল্প মধু এনসির। ‘ইকবাল’–এর ইকবাল বা ‘জো জিতা ওয়হি সিকন্দর’–এর সঞ্জুর গল্প নয়। যে গল্পগুলো কেবলমাত্র ছবিতেই দেখেছি, তা এবার বাস্তবে, বেঙ্গালুরুর মাটিতে। এক সরকারি বাসের কনডাক্টর তিনি। বয়স ২৯। ভোর চারটে থেকে পড়াশোনা করতে বসেন। তারপর কাজে বেরোন। আট ঘণ্টা ধরে শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত যাওয়া আসা করেন। ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে বড্ড ঘুম পায় তাঁর। কিন্তু ঘুমানোর সময় নেই।
ঘুমিয়ে পড়লে তাঁর স্বপ্ন যে স্বপ্নই থেকে যাবে। সত্যি হবে না। তাই বাড়ি ফিরেও তিনি বই নিয়ে বসেন। দিনে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় অঙ্ক, বিজ্ঞান, এথিক্স, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আত্মস্থ করেছেন। আর তাঁর এই অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ রং ধরেছে। সিভিল সার্ভিসের মূল পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। এরপর?
২৫ মার্চ ইন্টারভিউয়ে যদি পাশ করে যান তাহলে সরকারের উচ্চ পদে তাঁর চাকরি বাঁধা। তাঁর পরিবারে কেউ পড়াশোনা পর্যন্ত করেননি। একমাত্র মধুই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তারপর পরিবারে অভাব অনটনের কারণে এই কনডাক্টরের চাকরি। কিন্তু তা বলে হাল ছাড়েননি তিনি। কঠোর পরিশ্রম করে আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছলেন। সারা ভারত আজ তাঁর জন্য প্রার্থনা করছে যেন তিনি ইন্টারভিউটাও পাশ করে যান।