শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৩৭ সকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইভিএম : জালভোট ঠেকার কোনো নিশ্চয়তা নেই

 

মারুফ কামাল খান : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ মরা মানুষ, কারাবন্দি ও প্রবাসে থাকা লোকজনও ভোট দিয়েছে বলে চট্টগ্রামে একটি সংসদীয় আসনের সদ্যসমাপ্ত উপনির্বাচনে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশন সেই বিতর্ক থামার জন্য বলেছে যে, অভিযোগগুলো তারা খতিয়ে দেখবে কেমন করে এমন হলো। একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে পারলে এই যন্ত্রেও জালভোট দেয়া যায়। তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, যন্ত্রটিতে জালভোট ঠেকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই প্রযুক্তির সঙ্গে ভোটারদের তেমন পরিচয়ও নেই। তাছাড়া নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একটি পক্ষ বারবার অভিযোগ ও সন্দেহ প্রকাশ করছে যে, যান্ত্রিক কারসাজি, বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার, আগে থেকেই ক্যালিব্রাইট করে রাখা এবং হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে কম্পিউটারাইজড এই পদ্ধতিতে ভোটের ফল পাল্টানো বা ফিক্স করা সম্ভব। নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশও একই ধরনের অভিযোগের প্রতিধ্বনি করে আসছে। ইভিএম আন্তর্জাতিকভাবেও খুব গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি নয়।

এ নিয়ে দুনিয়াজোড়া সন্দেহ, সংশয় ও বিতর্কের অবসান ঘটেনি। খুব অল্প কিছু দেশে এ পদ্ধতি চালু আছে। অনেক দেশ চালু করে বিতর্কের মুখে বাতিল করেছে। উন্নত কিছু দেশ ইভিএম মেশিনে ভোটের সঙ্গে কাগজের ‘অডিট ট্রেইল’ যুক্ত রাখতে বাধ্য হচ্ছে আদালতের নির্দেশে, যাতে বিতর্ক বা অভিযোগ উঠলে তা যাচাই করা যায়। কাগজের অডিট ট্রেইল ছাড়া ইভিএমের ভোটে কারচুপি হলে বা ফলাফলের যথার্থতা চ্যালেঞ্জ করলে তা যাচাই করে দেখার কোনো সুযোগ বা প্রমাণ থাকে না। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ব্যবহৃত ইভিএমের একটি বড় দুর্বলতা হলো যে এতে ‘পেপার অডিট ট্রেইল’ বা ইভিএমে প্রদত্ত ভোট কাগজে রেকর্ড হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা পরবর্তী সময়ে নিরীক্ষার কোনো সুযোগ থাকে না।

এসব গুরুতর ত্রুটি-বিচ্যুতি, মন্দ নজির, বিতর্ক ও আপত্তি সত্ত্বেও সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিব এই যন্ত্রেই ঢাকার দুই সিটির ভোট করার ব্যাপারে গোঁ ধরে আছেন। এতে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে ঘোর সংশয় তো আছেই, আসলে ঢাকা সিটিতেও নির্বাচনের নামে কী দাঁড়াবে তা স্বাভাবিকভাবেই গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়