শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৯:৩৫ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৯:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতি, ইউপি সদস্যসহ চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী : কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজার এলাকায় বুধবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন- মো. ইদ্রিস মিয়া (৪৪), ইউপি সদস্য মো. মমিনুল ইসলাম (৪৬), আবু বক্কর সালাফী (৪৩) এবং রুবেল (২৪)।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ম্যাগাজিনসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি চাপাতি, ১টি চাকু, ৪ ধরণের প্রিন্টারের কালিসহ ১টি রঙ্গিন প্রিন্টার, জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের ২৪ টি ভূয়া সীল, ১৬টি সোনালী ব্যাংকের ভুয়া ট্রানজেকশন ভাউচার, ২৮টি বিভিন্ন ব্যাংকের ভুয়া এক্সপ্রেস মানি রিসিপ্ট ভাউচার, ২ পাতা এনসিসি ব্যাংকের ভুয়া পেমেন্ট স্লিপ, ১১ জনের ভুয়া গলাকাটা এনআইডি এবং ভুয়া এনআইডি তৈরির ছবি-১৬টি উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চক্রটি ব্যাংকের টাকা জালিয়াতির পাশাপাশি পেশাদার ছিনতাইকারী, ভাড়াটে ক্যাডার ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তাদের প্রতেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আলেপ উদ্দিন জানান, তারা সংঘবদ্ধ ব্যাংক জালিয়াতি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে ব্যাংকের ভাউচার জালিয়াতি করে বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। গ্রেপ্তার মো. ইদ্রিস জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা।

তিনি আরো জানান, গত ৩ বছর আগে হোটেলে কাজ করার সময় এক ভারতীয় সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার পশু ভাইয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয় এবং তার কাছ থেকে ব্যাংকের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের বিভিন্ন অভিনব কৌশল শিখে। পশু ভাই দীর্ঘদিন ধরে এটিএম বুথ হ্যাক করে বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও রেমিটেন্স জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইদ্রিস প্রথমে যে জালিয়াতির জন্য ব্যাংক নির্বাচন করে। পরে ওই ব্যাংকে প্রথমে বৈধভাবে তার পরিচিত লোক বিদেশ থেকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে তার নামে অল্প পরিমাণ টাকা পাঠায়। সেই টাকা উত্তোলনের জন্য তাকে একটি গোপন পিন নম্বর দেয়া হয়। ওই পিন নাম্বার নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক টাকা উত্তোলনের জন্য একটি ভাউচার তৈরি করে দেয়। এরপর ভাউচার দিয়ে টাকা উঠানোর আগে ইদ্রিস তার মোবাইলে ভাউচারের একটি ছবি তুলে রাখে। মোবাইলে ভাউচারের ছবি দিয়ে তার প্রিন্টারে নতুন নতুন ভাউচার তৈরী করে তাতে নতুন রেমিটেন্স নাম্বার বসিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর এবং বিভিন্ন এনআইডির স্বাক্ষর নকল করে গলাকাটা এনআইডি (এনআইডির ছবি পরিবর্তন) ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করে। এইভাবে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের চাঁদপুরের সাচার শাখা ও সোনালী ব্যাংকের রহিমা নগর শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের কুমিল্লার মুরাদনগর শাখা, বি-বাড়িয়ার মাধবপুর শাখাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে। প্রতারক ইদ্রিস ২০১৮ সালে ১১ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের বুড়িচং শাখায় বিদেশ থেকে পাঠানো গোপন নম্বরের টাকা জালিয়াতি করে তুলতে গিয়ে হাতে নাতে আটক হওয়ার পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করলে কিছু দিন কারাগারে থাকেন। এরপর জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করেন।

গ্রেপ্তার মমিনুল ইউপি সদস্য ও জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে গত ১ বছর ধরে জড়িত। গত ৪ মাস আগে চাঁদপুর অগ্রণী ব্যাংকের বাবুর হাট শাখায় ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সময় হাতে নাতে আটক হয়ে জেলে যায়। ১৭ দিন জেল খেটে জামিনে আসার পর আবারও জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সক্রিয় হয়। আর আবু বক্কর ও রুবেল এই চক্রের অন্যতম সহযোগী সদস্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়