শিমুল মাহমুদ : বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা উত্তর বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এ কথা বলেন।
প্রচারণার শুরুতে নানা অভিযোগ থাকলেও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা হয়েছে। নির্বাচনের আগমুহূর্তে কোনো শঙ্কা রয়েছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, আশঙ্কার জায়গা থেকে এখনো পুরোপুরিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের আশঙ্কার বড় একটা জায়গাটা হলো নির্বাচনের দিন। আমাদের সকল পোলিং এজেন্ট নির্বাচনের কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা, থাকতে পারবে কিনা, সে জায়টায় শঙ্কা আছে। এছাড়া ইভিএম মেশিন কিভাবে কাজ করে বা কাজ না করে সেটাও আমরা নির্বাচনের দিন বুঝতে পারবো।
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন কোন অপ্রিয় ঘটনা মোকাবেলা জন্য প্রস্তুত কিনা। কারণ, জনগণ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আগামী দুই দিনের অপেক্ষায় আছি, নির্বাচন শেষ করে ফাইনাল মন্তব্য করবো।
বিএনপির এ মেয়র প্রার্থী বলেন, রাজনীতি এবং দেশ একটি সংকটে রয়েছে। এ সংকট মূলত তৈরি হয়েছে রাজনীতিতে দলীয়করনের কারণে। আমরা এতোটাই ডিভাইডেট হয়েছি যে জনগণের জায়গায় আমরা ঐক্য হতে পারছি না। আমাদের ঐক্যের বিষয়টি মনে মধ্যে থাকলেও প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা চাই, জণগণকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য, সেই জায়গাটায় আমরা যেনো সবাই ঐক্য থাকি।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো নির্বাচনের দিন সকল ভোটাররা যেনো ভোট কেন্দ্রে যাবেন । এক্ষেত্রে যারা ভোটার না উনারা যেনো ভোটারদের সহযোগিতা করে। উৎসাহ দেয়, দায়িত্বশীল হয়ে ভোট দেয়ার জন্য। আমি বিশ্বাস করি সকলেই যদি ভোট দিলে, এই ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুদিন অবশ্যই আসবে।
জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, একটা শঙ্কা ছিল, নির্বাচন হবে কি হবে না। সেই শঙ্কা কেটে গেছে।শঙ্কা ছিলো, সবায় অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটিও কেটে গেছে। 'আমার ভোট আমি দেবো,যাকে খুশি তাকে দেবো' এই নীতিতে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।প্রত্যাক ভোটার তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের শুধু প্রত্যাশা থাকবে, প্রার্থীরা যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে এবং তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি তারা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবেন। আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা অতীতে গণতন্ত্রের জন্য সামপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য ভূমিকা রেখেছি সে ভূমিকা রাখবো। দেশ, মাটি এবং মানুষের পক্ষে থাকবে আমাদের ভূমিকা।
ভোরের কাগজ প্রত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গত কয়েক দিনে আমাদের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাবো নির্বাচনের সময় সাংবাদিকেরা যেনো নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারে। অন্তত তারা যেন সহিংসতার সংঘাতের শিকার না হয়। আমাদের প্রত্যাশা নির্বাচনটি যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদ মো. শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ত্র্যানীসহ বিএনপি তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আপনার মতামত লিখুন :