শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিটি নির্বাচন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন, ভোটার উপস্থিতি হবে তো ?

ডেস্ক নিউজ : আর মাত্র একদিন বাকী সিটি নির্বাচনের। আর এ নির্বাচনের প্রচারণায় রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্য দলের প্রার্থীরা। প্রচারণা শুরু হয়েছে গত ২০ জানুয়ারি থেকে।

দুই সিটির মেয়র প্রার্থীরা গনমাধ্যমকে অভিন্ন কণ্ঠে বারবার বলছেন,ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন কি না তা নিয়ে তারা সংশয়গ্রস্ত। বিশেষ করে বিএনপির দুই প্রার্থী প্রতিদিন বলছেন, ‘নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন,জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের সুরক্ষা দেব।’ সূত্র : ইত্তেফাক

এদিকে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহনের ঘোষনা দিয়েছে। ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছে, অভয় দিচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দুই সিটি। ভোটের দিন সকাল থেকেই মাঠে থাকবে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকেই বিজিবির সদস্যরা মাঠে নামবেন। প্রতি দুই সাধারণ ওয়ার্ডে ১ প্লাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং এবং র্যাবের আলাদা টিম থাকবে। ভোটের দিন বহিরাগতদের রাজধানী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিকেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। সব কেন্দ্রে ইভিএম-এর ব্যবস্থাপনায় থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হচ্ছে নিরাপত্তা চৌকি। ভোটারদের নিরাপত্তা আর ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

পুলিশ, র্যাব, বিজিবির ও আনসার মিলে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক সদস্য এই নির্বাচনে মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনী অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠে নামছেন ১৭২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনের রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আর সন্ত্রাসী, মাস্তানদের আটকে পরিচালনা করছে বিশেষ অভিযান। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে।

সিটি নির্বাচনে জনস্বার্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিকদের ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুায়ারি পর্যন্ত সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ইসির নির্দেশে ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে নির্বাচনে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ২৬ ধরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবশেষে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের আইনানুগ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে। এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

এতদসত্বেও ভোটার উপস্থিতি কি কাংখিত মাত্রায় হবে? সাধারন জনগনের মাঝে ঘুরেফিরে একই প্রশ্ন :ভোটার উপস্থিতি হবে তো?

রাজধানীর গুলশান-১ এর ভোটার আবুল মোকাররম বললেন,ভোট দিতে যাবো কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। যেতেও পারি না-ও যেতে পারি। ওয়ারি এলাকার ভোটার ডা.মিরাজুল ইসলাম বললেন,আমাদের ফ্যামিলিতে ১১ টি ভোট । যেভাবে মারামারি-সংঘর্ষ হলো তাতে ভরসা পাচ্ছি না।

ভোটের দিন সকালে খবর নিবো। ভোট দেওয়ার পরিস্থিতি থাকলে যাবো। বাবর রোডের পুরানো বাসিন্দা মোসাদ্দেক হোসেন বললেন,আমি কোন দল করি না। ভোট কেন্দ্রে যাই নাই অনেক বছর। আমাদের মতো অনেকের ধারনা যিনি পাশ করবেন তিনি তো পাশ করবেনই। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কি ভোট দিতে পারবো? তবুও যাবো এবার। সম্পাদনা: জেরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়