দেবদুলাল মুন্না : গত মঙ্গলবার বিহারের জেহানাবাদ থেকে সারজিল ইমামকে গ্রেপ্তার করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুই লেখক জি নিউজকে এ কথা বলেন। সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য আসাম রাজ্য সরকার মামলা করেছিলো তার বিরুদ্ধে। এফআইআর দায়ের করেছিলো দিল্লি পুলিশও।
কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সারজিলের একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওতে দেখা যায় সাম্প্রদায়িক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মন্তব্য করেছেন জেএনইউয়ের এই ছাত্র। ভিডিওতে সারজিলকে বলতে শোনা যায়, “অসমে মুসলিম ও বাঙালিদের মারা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব বাংলাভাষীকে মারা হবে। ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। তাই অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে অন্তত কয়েক দিনের জন্য এই রাজ্যকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।’
এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা হয়। ৫টি দল গঠন করে দিল্লি পুলিশ। তল্লাশি শুরু হয় মুম্বই, পাটনা ও দিল্লিতে। মামলা হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন সারজিল।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সোচ্চার হয়েছেন সারজিল। হিন্দি ও ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন। তিনি দিল্লি নেহেরু কিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রিসার্চ স্কলার।
আপনার মতামত লিখুন :