সাইফুর রহমান : দলের সভাপতি নীতীশ কুমারের সঙ্গে তার টানাপোড়েন চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরে। মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে জেডিইউ সভাপতি প্রশান্ত সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘তিনি দলে না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই।’ তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার দল থেকে বিতাড়িত করা হলো প্রশান্তকে। ২০১৮ থেকে জেডিইউ’র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালণ করছিলেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউজ১৮, এনডিটিভি
বহিষ্কৃত হওয়ার পর এক টুইটে নীতীশ কুমারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশান্ত বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই, আপনার মঙ্গল কামনা করি।
বুধবার সকালে প্রশান্তকে আক্রমণ করে জেডিইউ নেতা অজয় অলোক বলেন, ‘তাকে বিশ্বাস করা যায় না। তিনি মোদীজির বিশ্বাস অর্জন করতে পারেননি, এমনকি নীতীশজিরও নয়। একদিকে তিনি জেডিইউ’তে রয়েছেন আবার কাজ করছেন মমতা কিংবা রাহুল গান্ধির সঙ্গে। কে তাকে বিশ্বাস করবে?’ তাকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করে অজয় বলেন, আমরা খুশি যে ভাইরাসটা দূর হয়েছে।
পার্লামেন্টর দুই কক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন করেছিল জেডিইউ। কিন্তু প্রশান্ত দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এতাদিন উল্টোপথে হেঁটেছেন। এনিয়ে দলের অভ্যন্তরেই তীব্র ক্ষোভ দানা বাধছিলো কিছুদিন থেকে। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :