এল আর বাদল : হঠাৎ প্রশ্ন উঠেছে, এশিয়া কাপের ১৫তম আসরটি কোথায় হবে? অথচ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) অধীনে এই আসরটি পাকিস্তানে হওয়ার কথা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে অসম্মতি জানিয়েছে। পাকিস্তান ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যু আরব আমিরাতে আয়োজনের প্রস্তাব করেছে। কিন্তু তাতেও ভারতের আপত্তি। পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আয়োজিত হলে টুর্নামেন্ট বয়কটের হুমকি দিয়েছে ভারত।
এদিকে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে রাজি হওয়ার পেছনে অনেকে দেখছেন বিসিবির কাছে পিসিবির এশিয়া কাপ আয়োজনের অধিকার ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জণ। যদিও পিসিবি জানিয়েছে, এশিয়া কাপ নিজেরা আয়োজন না করলেও অন্য কোনো দেশকে ছেড়ে দেওয়ার অধিকার তাদের নেই।
এতোসব গুঞ্জণ আর আলোচনার মধ্যে আগামী মাসে আলোচনায় বসতে চলেছে এসিসি। সংস্থার সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে এশিয়ার ক্রিকেটের সংস্থাগুলোর প্রধানরা আলোচনায় বসে ঠিক করবেন, কোথায় বসবে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে এসিসির এক সূত্র জানিয়েছে-ফেব্রুয়ারিতে এসিসির একটি সভা বসবে, যেখানে এশিয়া কাপের আয়োজন স্বত্ব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বছর পাকিস্তান এশিয়া কাপ আয়োজন করার কথা। তাই সিদ্ধান্তও তাদের-এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হবে নাকি অন্য কোথাও।
নিজেদের দেশে পুরোদমে ক্রিকেট ফেরাতে মরিয়া পাকিস্তান স্বভাবতই আয়োজনের দায়িত্ব ছাড়তে চাইবে না। তবে এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হলে পিসিবি ও বিসিসিআইয়ের দূরত্ব আরও বাড়তে পারে, যা প্রভাব ফেলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটীয় প্রেক্ষাপটেও। দীর্ঘ সময় ধরেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন বন্ধ রয়েছে। একমাত্র বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও এশিয়া কাপের মত আসরেই খেলতে নামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল।
এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসরও বসেছিলো আরব আমিরাতে। এবারো পাকিস্তান আরব আমিরাতকে কিছু ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দিতে চায়। সে ক্ষেত্রে ভারতসহ অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশ আপত্তি জানালে এশিয়া কাপ বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে দৌড়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ আসরের আগে এশিয়া কাপের টানা তিনটি আসর (১১, ১২ ও ১৩তম) আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। -সূত্র, ক্রিকটাইম
আপনার মতামত লিখুন :