মশিউর অর্ণব: করোনা ভাইরাসের সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য তাদেরকে ‘ক্রিসমাস আইল্যান্ড’ নামক ঐ দ্বীপে রাখা হবে। অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঐ ৬০০ জনের মধ্যে যাদের এখনও করোনার উপসর্গ দেখা দেয়নি, তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিবিসি
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের এমন ঘোষণার পর সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারণ এই দ্বীপটি ২০০৩ থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বন্দী শিবির হিসেবে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ জনগণ প্রশ্ন তুলেছেন, তাদের সন্তানদেরকে দেশের মধ্যে অবস্থিত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা না করিয়ে কেনো এরকম বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পাঠানো হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান মূল ভূখণ্ডের তুলনায় ইন্দোনেশিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত এই দ্বীপটির দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাতি আছে। এর বন্দী শিবিরগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের, এমনকি এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতরও অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ক্রিসমাস আইল্যান্ডে চার সদস্যের একটি শ্রীলংকান পরিবারকে রাখা হয়েছে। প্রায় এক হাজার মানুষকে ধারণ করার উপযোগী করে দ্বীপটি তৈরি হয়েছিল।