শাহীন খন্দকার: বুধবার শ্যামলী যক্ষ্মা হাসপাতালে ‘মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ’ এই স্লাগানে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ সায়েন্টিফিক সেমিনার বক্ষব্যাধি রোগের উপর প্রভাব, প্রতিকার এবং আশু করনীয় শীর্ষক সেমিনার ও পিঠা উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা.হাবিবে মিল্লাত এমপি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা দিতে হলে শুধু রাজধানীতেই প্রয়োজন ডা. ১ লাখ ৬৮ হাজার, নার্স প্রয়োজন ৮ লাখ।পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকার পরেও আমাদের ডাক্তার-নার্স রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে।
তিনি বলেন, শ্যামলী যক্ষ্মা হাসপাতাল স্বাস্থ্য সেবায় সর্বাত্বক চেস্টা করে যাচ্ছেন সরকার।এই হাসপাতালকে যক্ষ্মা ও অ্যাজমায় আক্রান্তদের রোগীদের চিকিৎসা দিতে খুব দ্রুত উন্নত মানের হাসপাতালে রুপান্তরিত করা হবে।আগামীতে পাশ্ববর্তী দেশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসবে। সে লক্ষ্যেই চিকিৎসা সেবাকে আর্ন্তজাতিক মানের করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে সুস্থ-সুন্দর জাতি গড়ার লক্ষ্যে ডাক্তারসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।রাজধানীতে প্রতিকিলোমিটারে ৪৬ হাজার লোকের বসবাস হওয়ায় বায়ুদূষণের মাত্রা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন বিশ্বজড়ে শহরাঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ অনিরাপদ বায়ু দূষণের মধ্যে বসবাস করছে।তীব্র বায়ুুদূষণের সাথে মানুষের বুদ্ধি কমে যাবার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে।নতুন গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে চীনে।চার বছর ধরে চীনের ২০ হাজার মানুষের উপর এক গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন, তাদের যৌথ গবেষণার মাধ্যমে।গবেষকরা মনে করেন, এ গবেষণাটি বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিক।
অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, নির্মল ও পরিচ্ছন্ন বায়ু আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অনিবার্য।তাই বায়ুর গুণগতমান বজায় রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় বায়ুদূষণের কারণে। এদের মধ্যে ৪ মিলিয়ন মানুষের বসবাস হলো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। শুধুমাত্র ইটভাটা, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন ও শিল্প কারখানা নয়, পরিবেশ আইন অমান্য করে উন্মুক্তভাবে ইট-বালি পরিবহন ও ভবন নির্মাণের সময় খোলা জায়গায় অথবা রাস্তার উপরে সেগুলো রেখে দেয়ার ফলেও বায়ুদূষণ হয়ে থাকে।
উপ-পরিচালক ডা. আবু রায়হান বলেন, বায়ুদূষণের ফলে মৃত্যুবরণকারী নব্বই ভাগেরও বেশি মানুষ গরীব দেশগুলোর বাসিন্দা। বায়ুদূষণ এমন একটি মারাত্মক প্রভাবক যার জন্য ২৪ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মানুষের হার্টের অসুখ, ২৫ শতাংশ স্টোক, ৪৩ শতাংশ পাল্মনারি রোগ এবং ২৯ শতাংশ ফুসফুস ক্যান্সার হয়ে থাকে।তিনি বলেন শহরগুলোতে গড়ে উঠা শিল্প-কলখানাও বায়ুদূষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।বায়ুদূষণের ফলে হৃদরোগসহ বক্ষব্যাধি ক্রমান্নয়ে বেড়েই চলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :