মিনহাজুল আবেদীন : গ্রামীণ অর্থনীতিতে আরো অনেক প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। বিনিয়োগ আরো অনেক হয়া দরকার, তবে প্রযুক্তি এবং প্রোডাকশনের জন্য উন্নতি প্রয়োজন। যার ফলে আমরা প্রতিটা কাজে হোঁচট খাচ্ছি। তবে এগুলো নিরসনের জন্য আমাদের আলাদাভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসয়ের মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ ডিবিসি টিভিতে এসব কথা বলেন।
মুরশিদ বলেন, শুধুমাত্র প্রোডাকশন দিয়ে উন্নয়ন করা যাবে না। গ্রামীণ উন্নয়নের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি প্রাইভেট এবং বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিও নজরদারী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের অর্থনীতি বিভাগের সচিব ড. শামসুল আলম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ বাড়ছে, পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন ছিলো না, যার কারণে এটা সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ হয়নি। তবে এই প্রবৃদ্ধিরহার ত্বরানিত হয়েছে, আন্তর্জাতিক সহায়তার পাশাপাশি সমঝোতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বানিজ্যিক পরিবেশ আগের থেকে অনেক সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে আয় বৈষম্য কমানো যাবে না, এর জন্য বিশেষ কর্মসূচি গঠন করতে হবে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে আয় ও ব্যয় বাড়াতে হবে, পল্লী জনপদগুলোর রাস্তার সংস্কার করতে হবে।
একই অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত¡বধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিরহার অনেক বেশি, দেশে বিনিয়োগের আরো অনেক প্রয়োজন রয়েছে, তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বাধা রয়েছে, তবে ব্যাংকিং খাতের দুরাবস্থা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, যা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পাদনা: রাশিদ