শাহীন খন্দকার : বিষয়টি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বক্ষব্যাধি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সবৃন্দ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিজেদের সেরাটা দিয়েই চিকিৎসা করবেন।
করোনা ভাইরাস নিয়ে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. কনক বলেন, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সামান্য থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, হাচি, কাশি, শরীর ব্যথা, দূর্বলতা ও ডায়রিয়া।
তিনি বলেন চীনের উয়ান প্রদেশে যারা ছিলেন বা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের এসব লক্ষণ দেখা দিলে অধিক শর্তক থাকতে হবে। এই রোগে নিউমোনিয়া হয়ে ফুসফুস অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তীতে কিডনি, হার্ট ও লিভার আক্রান্ত হয়ে অকেজো যায় এবং এতে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। উপচার্য বলেন ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের আটটি বিভাগের জেলা সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলোতে এ ইউনিট খোলার নির্দেশ করেছে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সম্মেলন কক্ষে ।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ্ সিকদার, উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, অধ্যাপক ড. মুনিরা জাহান প্রমুখসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রোগীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষাসহ সতর্কতার মুলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতামূলক সবধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে স্ক্যানার মেশিন দিয়ে চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :