মিনহাজুল আবেদীন : দেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিকম রয়েছে। তবে সতর্কতা অবলম্বনে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার সক্রিয় রয়েছে, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোমবার বিবিসি বাংলাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি কন্টোল রুমের সহকারি পরিচালক আয়েশা আক্তার এসব কথা বলেন।
আয়েশা আক্তার বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস দেখা যায়নি। তবে এর মূল লক্ষণ দেখা দেয়, জ্বর, সর্দি, কাশি এবং নিউমোনিয়া থেকে।
তিনি বলেন, এর প্রতিরোধ করার জন্য হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময়, অবশ্যই রোমাল ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডালাগা ব্যক্তির থেকে কমপক্ষে ২ হাত দূরে থাকতে হবে। সব সময় হাত ধুতে হবে, খাবার খাওয়ার সময় আগে ও পরে হাত ধুঁতে হবে, মাছ এবং মাংস রান্নার ক্ষেত্রে ভালোভাবে সিদ্ধ করতে হবে। প্রটেকশনের জন্য মুখে মাকস ব্যবহার করতে হবে। অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্স থেকে দূরে থাকতে হবে। এ নিয়মগুলো সঠিকভাবে মানলে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচা যাবে। তবে হাঁচি ও কাশি বা জ্বর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেয়ে পরামর্শ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার এটা প্রতিরোধের জন্য নানাভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, নৌবন্দর ও স্থলবন্দর এবং বিমানবন্দরে থারমালিন স্ক্যান বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। সকল পেচেঞ্জারকে থারমাল স্ক্যানার মেশিন দিয়ে চেক করা হচ্ছে এবং চীনের ৪টি ফ্লাইটকে আলাদাভাবে নজরদারী করা হচ্ছে। আইসিডিআরে আলাদা করে নোভেল করোনা ভাইরাস নামে একটি কন্টোলরুম খোলা হয়েছে এবং ৪টি হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৩টা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এই সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ১০৬ জনের উপরে, চীনের উহান শহর থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ