মাজহারুল ইসলাম : বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ কাটা রোধে লোডারদের (মালামাল খালাসে নিয়োজিত কর্মী) পকেটবিহীন পোশাক বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পকেটবিহীন নতুন পোশাকে দেখা যাবে লোডারদের। বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক জানান, বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশন, এপিবিএন, এনএসআইসহ বিভিন্ন সংস্থার আলাদা সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কোথাও কোনও লাগেজ কাটার সুযোগ নেই। এমনকি কেউ যদি চেইন খুলে হাত ঢোকানোরও চেষ্টা করে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ধরে জেলে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা লাগেজ ব্যবস্থাপনাকে সমন্বয় করিনি। এটা সেন্ট্রালি থাকা উচিত। এতে কাজটা ভালো হবে। কোনও অনিয়ম হলেই ধরা পড়বে। এনএসআইয়ের হাতে ধরা না পড়লে এপিবিএনের হাতে ধরা পড়বে। বিমানে যদি কোনও লুজ লাগেজে লোডাররা হাত দেয়, তবে তা আমাদের দেখার সুযোগ নেই। এ কারণে লোডারদের জন্য পকেটবিহীন প্যান্ট ও শার্টের ব্যবস্থা করছি। লোডারদের জামার ও প্যান্টের পকেট থাকবে না। আমরা ইতোমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিয়েছি।
শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন যে থার্ড টার্মিনাল হচ্ছে, সেখানে লাগেজ ব্যবস্থাপনা আউটসোর্সিং হয়ে যাবে। বিমান আর করবে না। আউটসোর্সিং হলে লাগেজ পেতে দেরি হলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারব, আমরা জরিমানা করতে পারব। প্রতি ৫ মিনিট দেরির জন্য আমরা তাকে জরিমানা করব। সরকারি সংস্থা হওয়ায় বিমানের বিরুদ্ধে তো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার