মাসুদ আলম : আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াছিন মোল্লাকে আদাবর থানার ওসি নম্বর থেকে ফোন করে জিতিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিনিময়ে তার কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। নির্বাচনের আগে পাঁচ লাখ এবং পরে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তিতে বিষয়টি রফা হয়। ইয়াছিন মোল্লা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা দেন। পরে আবার তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা চাওয়ায় তার মনে সন্দেহ হয়।
এরপর তিনি ওসিকে বিষয়টি জানান, পরে তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। এ ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি ইয়াছিনের ছেলে কাওসার মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। একই ঘটনা ঘটেছে ওই ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেমের সঙ্গে। প্রতারক চক্র তার কাছ থেকে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার ম্যানেজার আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
কাওসার মোল্লা বলেন, আমার বাবা ইয়াছিন মোল্লা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লাটিম প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন। ২২ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৪৮ মিনিটে তার মোবাইলে আদাবর থানার ওসির নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। কলার বলেন, আমি ওসি আদাবর বলছি। আমি নির্বাচনে আপনার জন্য কিছু করতে পারলাম না। কিন্তু আপনার জন্য একটি পথ আমি তৈরি করে দেই। আপনি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ওসি পরিচয়দানকারী ব্যক্তি একটি নম্বর দিয়ে বলে এটি ম্যাজিস্ট্রেটের নম্বর।
আপনি তার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ইয়াছিন তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কথিত ম্যাজিস্ট্রট বলেন, আপনি কি নির্বাচনে জয় লাভ করতে চান? যদি জয়ী হতে চান তাহলে আপনাকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নির্বাচনের আগে পাঁচ লাখ এবং নির্বাচনের পরে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের এই প্রস্তাবে রাজি হন। ওই দিন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আদাবরের একটি বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে ১৪টি নম্বরে পাঁচ লাখ টাকা পাঠান তিনি। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার ফের ওসির নম্বর থেকে ফোন আসে। তারা আরও তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে।
আদাবর থানার পরিদর্শক তদন্ত সেলিম হোসেন জানান, প্রতারকরা দুজন প্রার্থীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :