শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:২৭ সকাল
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আতিকুল আধুনিক ঢাকা গড়বেন ৩৮ উদ্যোগে

আমাদের সময় : সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৩৮টি প্রতিশ্রুতি নিয়ে ত্রিমুখী ইশতেহার দিয়েছেন আতিকুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর সিটির প্রতিটি অংশের জন্য আলাদা উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের এ মেয়র পদপ্রার্থীর। গতকাল রবিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।

ইশতেহার ঘোষণাকালে আতিক বলেন, নৌকার কোনো ব্যাকগিয়ার নেই। একটাই গিয়ার- সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। নৌকাই দিয়েছে স্বাধীনতা, লাল-সবুজের পতাকা। তাই নৌকা নিয়েই ঢাকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, নৌকা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। নৌকা উন্নয়নের কথা বলে, গরিব-অসহায় মানুষের কথা বলে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারা, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিন উপস্থিত ছিলেন।

সুস্থ ঢাকার লক্ষ্যে আতিকের প্রস্তাবনা হলো- উন্নত বিশ্বের মতো আইভিএম পদ্ধতিতে ঢাকার দুই সিটি, ওয়াসা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পাশের শহরের সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে বছরব্যাপী মশা নিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন; টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমিনবাজারে রিসোর্স রিকভারি ফ্যাসিলিটিজ স্থাপনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বর্জ্য অপসারণ ও জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর; তারুণ্যকে অনুপ্রাণিত করতে ও প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়াতে শহরের ওয়ার্ডগুলোয় পাড়া উৎসবের আয়োজন; বস্তিবাসীর জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত; জলাশয় দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করে নগরবাসীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়া; সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকায় নারীবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি; মিরপুরে করপোরেশনের জমিতে বৃদ্ধ ক্লিনিক ও পোষা প্রাণীর জন্য ক্লিনিক নির্মাণ; এলাকাভিত্তিক দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও আধুনিক খেলার মাঠ তৈরি; বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক পশু জবাইকেন্দ্র স্থাপন; উত্তর সিটির প্রতিটি স্থাপনায় মাতৃদুগ্ধ পানের জন্য কক্ষ তৈরি; বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ; উত্তরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থানে মিস্ট ব্লোয়ার ও অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমানো এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে নানা সুযোগসুবিধা-সংবলিত ওয়ার্ড কমপ্লেক্স তৈরি।

সচল ঢাকার জন্য তার পরিকল্পনাগুলো হলো- ফুটপাত দখলমুক্ত করে এলাকাভিত্তিক পথচারীবান্ধব ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য ফুটপাত নেটওয়ার্ক তৈরি; হকারদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান; যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, দক্ষিণ সিটি, পরিবহন মালিক সমিতিসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন; প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করা; জেব্রা ক্রসিংগুলোয় ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যাল স্থাপন; নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে এস্কেলেটরসহ নতুন ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ; আধুনিক নগর ব্যবস্থার জন্য ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা; অ্যাপভিত্তিক সময়সূচি প্রবর্তন ও নারীবান্ধব গণপরিবহন নিশ্চিত; সাইকেলের জন্য যেখানে সম্ভব আলাদা লেন তৈরি ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা; স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন; স্মার্ট বাসস্টপ ও বাস-ট্রাক টার্মিনাল তৈরি; বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য গণস্থাপনা ও গণপরিবহন নিশ্চিত করা; প্রতি মহল্লায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ব্যস্ততম এলাকাগুলোয় বহুতল ও আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স তৈরি।

আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে তার পরিকল্পনা হলো- ‘সবার ঢাকা অ্যাপ’-এর মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধান; বায়দূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু; অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা প্রদান; ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমাতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হেল্প ডেস্ক তৈরি; ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা না করে কাঁচাবাজার ও মার্কেটগুলোর আধুনিকায়ন; উত্তর ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে শুরুতে কয়েকটি এলাকাকে স্মার্ট নেইবারহুড হিসেবে গড়ে তোলা; ডিজিটাল কমান্ড সেন্টার তৈরি, যার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো কাজগুলো পরিচালনা; তারুণ্যকে অনুপ্রাণিত করতে প্রতিটি এলাকায় সাংস্কৃতিক ও সেবাকেন্দ্র গঠন, যেখানে থাকবে হেল্প ডেস্ক, ট্রেনিং সেন্টার, লাইব্রেরি ইত্যাদি; নগরের সার্বিক উন্নয়নে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ; প্রতিটি এলাকার কমিউনিটি সেন্টারগুলোর আধুনিকায়ন ও এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার; সব লেক, খাল সংস্কার, উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিয়ন্ত্রণ, পাবলিক স্পেস বাড়ানো, টেকসই পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যার সমাধান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়