কূটনৈতিক প্রতিবেদক: আইসিজের রায় পর্যালোচনায় শনিবার রাতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড জাস্টিজ রোহিঙ্গা ক্রাইসিস’ শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনই প্রফেনটেইন। কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি- ডিকাব সদস্যরা এতে অংশ নেন।
তিনি বলেন, এই রায়ে কানাডা সন্তুষ্ট। লড়াইটা শুরু, আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। মিয়ানমার কয়েক মাসে কী করে, তা দেখার বিষয়। আইসিজের সিদ্ধান্ত একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। নিরাপত্তা কাউন্সিলকে এখন নতুন করে ভাবতে হবে।
হাইকমিশনার বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অন্তবর্তী এই আদেশের পর মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সংকট সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। আমরাও তাদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য চেষ্টা করে যাব।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও মো. শহিদুল হক বলেছেন, এই আদেশের ফলে অন্যান্য দেশগুলোর নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। চীন ও রাশিয়ার ভোটে বিভিন্ন সময় রেজ্যুলেশন আটকে ছিলো। বাংলাদেশের উপর এ রায়ের প্রভাব রয়েছে। প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারও তাদের ফিরিয়ে নিয়ে হয়ত আদালতকে অবহিত করে গণহত্যার বিচার হালকা করার চেষ্টা করবে। সব নির্ভর করবে মিয়ানমারের সদিচ্ছার ওপরে। তবে এখন আর মিয়ানমার তার দায়িত্ব আগের মত এড়িয়ে যেতে পারবে না, কারণ বিষয়টি আদালতের মনিটরিংয়ে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :