আসিফুজ্জামান পৃথিল: আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে তাদের রুলিংয়ে স্পষ্ট বলেছে, মিয়ানমারকে রাখাইনে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বিধানে উদ্যোগ নিতেই হবে। কিন্তু রায়ের পর মিয়ানমার ঠিক এর উল্টো কার্যক্রম শুরু করেছে। ফরেন পলিসি, রয়টার্স, রেডিও ফ্রি এশিয়া
রয়টার্স জানিয়েছে, রাজ্যটিতে শনিবার মিয়ানমারের গোলন্দাজ বাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলার আঘাতে ২ রোহিঙ্গা নারী নিহত হন। যা সরাসরি আইসিজের রুলিংয়ের লঙ্ঘন।
এদিকে মংডু শহরে মিয়ানমার সেনাসংখ্যা বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে রয়টার্স। সীমান্ত ঘেঁষা শহরটিতে আর্টিলারি ইউনিট এবং ট্যাঙ্ক বিদ্ধংসী অস্ত্র নিয়ে সেনাসদস্যরা ঘোরাঘুরি করছে বলছে স্থানীয় এক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে।
স্থানীয় এক রোহিঙ্গা জানান, রাতের বেলা রোহিঙ্গা বসতিগুলোর সামনে ভারী অস্ত্রবোঝাই ট্রাক নিয়ে মহড়া দিচ্ছে সেনাসদস্যরা। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে। এছাড়াও হ্যান্ডমাইকে উপর্যপুরি তাদের বাঙালি বলে সম্বোধন করা হচ্ছে।
আইসিজেতে উত্থাপিত মামলাটি ইতিহাসের প্রথম মামলা যেটি কোনও পার্টি বা পক্ষ করেনি। বাংলাদেশ সংক্ষুব্ধ পক্ষ হলেও মামলাটি করেছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। আন্তর্জাতিক আইন বিশ্লেষকরা শুরুতে এটিকে দূর্বলতা বললেও এখন বলছেন এটি মামলাকে আরও পোক্ত করেছে।
এছাড়াই এটিই প্রথম মামলা যেখানে আইসিজের ১৭জন বিচারকের প্রত্যেকেই সর্বসম্মতিক্রমে একটি রায় দিয়েছেন। একজন বিচারকও অন্তবর্তী আদেশের বিষয়ে দ্বিরুক্তি করেননি।