এম এ হালিম, সাভার প্রতিনিধি : সাভারে স্ত্রীর সহযোগিতায় কিশোরী শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মো: সাহেব আলী (৩৪) ও স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৫) দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর সদস্যরা। সেই সাথে ঝর্ণা আক্তার নামের দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার বেলা দুপুরের দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস।
শনিবার বিকালে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী থেকে র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত দম্পতি হলেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার পুরদনপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মো: সাহেব আলী ও তার স্ত্রী ভুক্তভুগীর নিজের বোন জেসমিন খাতুন ।
উদ্ধার শিশু- ঝর্ণা আক্তার ভুক্তভুগীর নিজের বোন জেসমিন খাতুনের ভাই মো: রুবেলের (২২) মেয়ে।
র্যাব-৪ সূত্রে জানা গেছে, সাহেব আলী দম্পতি তাদের সন্তানকে পড়াশোনা করানোর জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে সিলেট থেকে সাভারে নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগীর বড় বোন জেসমিন খাতুন ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নিয়মিত তার স্বামীকে দিয়ে নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে সহযোগিতা করে। এক সময় ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা-মাকে জানায়। পরবর্তীতে কিশোরীর বাবা-মা তাকে নিয়ে সিলেটে চলে যায়।
এর কিছু দিন পর ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ষড়যন্ত্র করে ভুক্তভোগীর বড় ভাইয়ের দুই বছরের শিশুকে সিলেট থেকে অপহরণ করে নিয়ে এসে কক্ষে আটক করে রাখে এবং মারধর করে এই দম্পতি। খবর পেয়ে শনিবার বিকালে সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় ও দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস জানায়, এ বিষয়ে সাভার থানায় একটি মামলা হয়েছে । মামলাটি ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই রুবেল নিজে দুইজনের নামে করেছেন। আমরা আসামিদের থানায় হস্তান্তর করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :