শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:২৭ রাত
আপডেট : ২৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাবমেরিন থেকেই ছোড়া যাবে ৫০০০ কিমি পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল, আরও শক্তিশালী ভারত

রাশিদ রিয়াজ : ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা ভারত এক দশকেরও বেশি আগে শুরু করে দিয়েছিল। ৩৫০০ কিলোমিটার পাল্লার এই কে-৪ মিসাইল তৈরির কথা দীর্ঘদিন পর্যন্ত গোপনই রেখেছিল দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালে প্রথম বার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পরেও ভারত সরকার তা স্বীকার করেনি।

এ বার আরও শক্তিশালী এসএলবিএম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা শুরু করেছে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ডিআরডিএ। যার পাল্লা হবে ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ এর সমান। অর্থাৎ ৫০০০ কিলোমিটার। ডিআরডিএ-র এক কর্মকর্তা জানান, সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৫০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে কে-সিরিজের লেবেলই থাকবে। গোটা এশিয়া ছাড়াও আফ্রিকার একাংশ, ইউরোপ ও দক্ষিণ চীন সমুদ্র সহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এর আওতায় চলে আসবে।

একসপ্তাহের মধ্যে দু-বার ৩৫০০ কিমি পাল্লার কে-৪ মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করে, ডিআরডিএ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে। তিনি জানান, পরমাণু সাবমেরিন আইএনএস আরিহন্ত থেকে ব্যবহারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

২০১৪ সালে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হলেও, সে বার কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তার পাল্লার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করেনি। ৩০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছিল কে-৪। দ্বিতীয়বার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ কিন্তু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছিল। অর্থাৎ সমুদ্রের তলা থেকে উঠে ৩৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে কে-৪।

শব্দের চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি বেগে ছুটতে সক্ষম পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এসএলবিএম। ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন দেশের হাতে যে সব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী ভারতের এই কে-৪। নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ব্যবহার করা হবে।

এই মিসাইলটি ৩ মিটার লম্বা। বর্তমানে অরিহন্তে ৭৫০ কিলোমিটার পাল্লার বি-০৫ নিউক্লিয়ার মিসাইল রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়