কূটনৈতিক প্রতিবেদক : শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। অপরদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ফেসবুকেও এ তথ্য শেয়ার দিয়েছেন।
চীনের বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে হটলাইন নম্বর হলো (৮৬)-১৭৮০১১১৬০০৫। পাশাপাশি চীনের সামাজিক মাধ্যম উইচ্যাট গ্রুপ খোলা হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তা খারুল বাসার এবং আসিফ বাংলাদেশিদের করা ২৪৫ সদস্যের উইচ্যাট গ্রুপে যুক্ত রয়েছেন। সেখান থেকেও তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের খোঁজখবর রাখছেন।
বার্তায় বলা হয়, উহান শহরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার কাউকেই বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না। বিচলিত না হয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার জন্য সবাইকে বলা হয়েছে।
অপর দিকে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বেচাকেনায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বলে জানিয়েছে ঢাকায় চীন দূতাবাস, ছুটির মৌসুমে ভ্রমনের সময় অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার ঢাকায় চীনের দূতাবাস দেশটির কয়েকজন বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়ে বলছে, চীনের উহানের সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভৌগলিক অবস্থান এবং স্থানীয় সামুদ্রিক বাজারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নির্দেশ করে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এখানকার বাজারে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বেচাকেনা হত।
ভাইরাসের সংক্রমণ পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চীনের গবেষকরা করোনা ভাইরাসটির পুরো জিনোম সিকোয়েন্স প্রকাশ করেছে, যা বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট গবেষকদের ডায়াগনস্টিক কিটগুলো বিকাশ করতে এবং ভাইরাল রোগজনিত স্টাডি করতে সহায়তা করবে।
বর্তমানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেশটির উহান শহরেই বিদ্যমান রয়েছে। অন্যান্য কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে এর প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। করোনা ভাইরাস মানুষে মানুষে সংক্রমণ হচ্ছে। বেশ কয়েকজন চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে এর সংক্রমণ ঘটেছে। এই ভাইরাস কোনো সুপার স্প্রেডার বা অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসবাহী কর্তৃক আবির্ভূত হয়নি।
চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর প্রধান মহামারি বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং বলেছেন, উহানে শিশু বা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি এবং সংক্রমণের ঘটনাগুলো ঘটেছে মূলত বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
আপনার মতামত লিখুন :